সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাইয়িদ মুহাম্মাদ আকিল মাযাহেরি আর নেই আগামী মাসের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিচার : প্রধান উপদেষ্টা বজ্রপাতে প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রস্তুতি সম্পন্ন, রাতে শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট ফ্রান্সে মসজিদে ঢুকে মুসল্লিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা ভারতীয় মুসলিমদের পাকিস্তানিদের সঙ্গে তুলনা উচিত নয়: বিজেপি বিধায়ক মুফতী ফয়জুল করীমের মেয়রের চেয়ারে বসা আটকে আছে কোথায়? মোদি ইসরায়েলের পক্ষে, ইসলাম-মুসলমানের শত্রু: মাওলানা ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জে হাওরে ইসলামী আন্দোলনের শরবত বিতরণ

সুদানে নিহত ২৫২

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

sudanডেস্ক রিপোর্ট : দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
সরকারদলীয় এবং বিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ১০০ জন নিহতের খবর সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল। পরে আজ রোববার সকালে মৃতের সংখ্যা ২৫২ বলা হয়। যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে এ সংখ্যা হাজারেরও বেশি।

বিবিসি জানিয়েছে, দুদিন আগে সংঘর্ষের সূচনা হলেও এখনো সেখানে গোলাগুলি চলছে এবং নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। স্থানীয় বিদ্রোহী দলগুলো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ায় সংকট এবং হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, জুবায় প্রধান সরকারি হাসপাতালের মর্গ মরদেহে ভরে গেছে। আরেকজন চিকিৎসক জানান, আনুমানিক ২৫০টি লাশ দেখেছেন তিনি। নিহতদের মধ্যে সেনা ও বেসামরিক লোক রয়েছে। তবে তাঁরা জানান, সেনারা মরদেহ পরীক্ষা করার সুযোগ না দেওয়ায় লাশের সংখ্যা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসকদের একজন জানান, নিহতদের বেশির ভাগই পুলিশ ও সৈনিক।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট সালভা কির তাঁর প্রাসাদে ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক বিদ্রোহী নেতা রেইক মাচারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এর পরপরই উভয় নেতার দেহরক্ষীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

২০ মাসের গৃহযুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে দুই পক্ষের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হলেও তাতে শান্তি আসেনি। উভয় পক্ষই নিজ নিজ পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। দক্ষিণ সুদানের পঞ্চম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ বন্দুকযুদ্ধের পর শনিবার অনেকটা শান্ত ছিল রাস্তাঘাট। গৃহযুদ্ধের আশঙ্কায় আইএমএফের মতো বিদেশি সংস্থাগুলো জুবা থেকে তাদের স্টাফদের সরিয়ে নিচ্ছে।

/আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ