||নাজমুল হাসান||
বৃষ্টি নামলেই অনেকের মনে আসে অলস ও মনখারাপের সময়ের কথা। কাজের মুহূর্তে বৃষ্টি হলে অনেকেই বিরক্ত হন। কেউ বা ঘরে বসে জানালার বাইরে তাকিয়ে শুধু বৃষ্টির ফোঁটা উপভোগ করেন। আমাদের কাছে বৃষ্টি মানে—অসুবিধা, অলসতা কিংবা নিছক উপভোগ।
কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ ﷺ বৃষ্টির সময় কী করতেন?
প্রখ্যাত সাহাবী আনাস (রা.) বলেন:
“আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সঙ্গে ছিলাম, তখন বৃষ্টি নামল। তিনি তাঁর পোশাকের কিছু অংশ সরিয়ে দিলেন যাতে শরীরে বৃষ্টির পানি স্পর্শ করতে পারে। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কেন এমন করলেন?’ তিনি বললেন, ‘এটি তো আমার প্রভুর কাছ থেকে সদ্য এসেছে।’” [সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৯৮]
হ্যাঁ, বৃষ্টিতে ভিজা একটি সুন্নাহ্ — অথচ আজ তা প্রায় হারিয়ে গেছে। অধিকাংশ মুসলমানই এ সম্পর্কে জানেন না।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বৃষ্টি এলে খুশি হতেন, শরীরের কিছু অংশ উন্মুক্ত করে বৃষ্টির ফোঁটা অনুভব করতেন। কারণ বৃষ্টি আল্লাহর রহমতের এক অপার নিদর্শন। প্রতিটি ফোঁটার সঙ্গে ঝরে পড়ে রহমত।
বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়। তাই এই সময়টাকে কাজে লাগান, যা প্রয়োজন আল্লাহর কাছে চাইুন।
কখনও হয়তো আপনি কর্মব্যস্ততার মাঝে হঠাৎ বৃষ্টিতে আটকে গেলেন, বিরক্ত হয়ে বলতে যাচ্ছেন—“অসময়ের বৃষ্টি!” কিন্তু থামুন। এক মুহূর্তের জন্য সব ভুলে বৃষ্টির মাঝে নিজেকে ছেড়ে দিন। দেখবেন মনে অদ্ভুত প্রশান্তি নেমে এসেছে।
ইমাম নওবী (রহ.) বলেন:
“বৃষ্টি বর্ষণের শুরুতে শরীরের কিছু অংশে পানির স্পর্শ লাগানো মুস্তাহাব।”
তাহলে বুঝতেই পারছেন—শুধু নামাজ, নফল ইবাদত বা কিছু নির্দিষ্ট Sunnah নয়, বৃষ্টিতে ভেজাও একটি সুন্দর সুন্নাহ্।
এনএইচ/