বরগুনার আমতলীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা প্রতিহত করায় একদল বখাটের হাতে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবু তাহের মারধরের শিকার হয়েছেন—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে মানিকঝুড়ি মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সামনে। এ ঘটনায় রাতেই সুপার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন মোশাররফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে জোবায়ের হোসেন বাবু। বুধবার ছুটির পর ছাত্রীটি বাড়ি ফেরার পথে জোবায়ের ও তার সহযোগী ইমরান মোটরসাইকেলে করে তাকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। ছাত্রীটি দৌড়ে মাদ্রাসার সামনে আশ্রয় নিলে সুপার আবু তাহের ও শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম বখাটেদের বাধা দেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সুপার আবু তাহেরকে মারধর করে এবং শিক্ষক ফরিদুল ইসলামকেও লাঞ্ছিত করে। ঘটনাস্থলে আরও ১০–১২ জন সহযোগী ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
মারধরে আহত আবু তাহের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। রাতেই তিনি জোবায়ের হোসেন বাবুকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, জোবায়ের তাকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করত। ঘটনার দিন বাড়ি ফেরার সময় তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলতে গেলে তিনি দৌড়ে মাদ্রাসায় ফিরে আসেন। তখনই সুপারকে মারধর করা হয়। তিনি বখাটেদের শাস্তি দাবি করেন।
মাদ্রাসা সুপার আবু তাহের বলেন, ছাত্রীকে রক্ষা করতে গিয়ে আমাকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছি।
আমতলী থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনএইচ/