বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে হাতপাখার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই ‘মানুষ জানতে চায় ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের জন্য কী করবে’ খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজারবাগে পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পদত্যাগের পর আসিফ-মাহফুজকে যে পরামর্শ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা কারওয়ান বাজারে মুঠোফোন ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ওলামায় কেরামের বিকল্প নেই: শায়খে চরমোনাই গোপালগঞ্জে পুলিশ সুপারের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা তফসিল: বিটিভি ও বেতারে রেকর্ড হলো সিইসির ভাষণ

রাজারবাগে পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে একজন পু‌লিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম আফতাব উজ্জামান রিগ্যান (৩৭)। তি‌নি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছিলেন। বর্তমানে কর্মস্থল ছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সে।

মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পল্টন থানা পুলিশ। পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামিম হাসান বলেন, সকালের দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ছয় তলা থেকে রুমের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। রুমের ফ্যানের সাথে মাফলার পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগান ছিল তার।

আফতাবের ব্যাচমেটরা জানান, ‘৩৫তম আউটসাইড ক্যাডেট-এসআই’-এর ট্রেনিং শেষে ২০১৭ সালে যোগদান করেন তিনি। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার হামিদপুর গ্রামে। বাবার নাম মৃত আনোয়ার উদ্দিন। তিনি সিআইডির ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলের ডরমেটরিতে এক রুমে মেস করে থাকতেন। তার রুমমেট ছিলেন এসআই অনুজ কুমার দাস। ৬ মাস আগে বিয়ে করেন আফতাব। তার স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

রুমমেট অনুজ কুমার দাস বলেন, আমি মঙ্গলবার রাত ৮টায় ডিউটিতে চলে যাই। বুধবার সকাল ৯টার দিকে ডিউটি শেষ করে এসে দেখি রুম ভিতর থেকে বন্ধ৷ তখন আমি আফতাবকে ডাক দেই দরজা খুলার জন্য। কিন্তু অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোন সাড়াশব্দ পাচ্ছিলাম না। এরপর বাইরে থেকে রুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে উঁকি দিলে দেখি, ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের সব পুলিশ সদস্যকে বিষয়টি জানাই।

তিনি বলেন, তাকে মাঝেমধ্যে রুমের বাইরে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলতে দেখতাম। যখন কথা বলা শেষে রুমে ফিরত, তখন বিমর্ষ লাগত। একবার তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোন প্রবলেম কি না! তখন সে বলেছিল, একটা প্রবলেম আছে, তবে ঠিক হয়ে যাবে। এর বাইরে কখনও কিছু চোখে পড়েনি।

স্বজনরা জানান, আফতাবের এক ভাই লন্ডন প্রবাসী। আরেক ভাই পুলিশের এসআই। আর ২ বোনই চিকিৎসক।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ