পলিটেকনিকে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের স্থানান্তর, তাদের প্রমোশন বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে দিনাজপুরে রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে আটকা পড়েছে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী বাংলাবান্ধা ও সান্তাহারগামী দোলনচাপা এক্সপ্রেস ট্রেন। বন্ধ হয়ে রয়েছে দিনাজপুরের সঙ্গে রেলওয়ে যোগাযোগ। এদিকে, সড়কপথে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দিনাজপুর নিমনগর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় রেললাইনে বসে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। এতে করে একই সঙ্গে রেলপথ ও রাজপথ অবরোধ হয়ে রয়েছে।
এদিকে, দুপুর ১২টা থেকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষার্থীরা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী বাংলাবান্ধা দিনাজপুর স্টেশনে এবং সান্তাহারগামী দোলনচাপা এক্সপ্রেস ট্রেন দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পড়েছে। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়ক দিয়ে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান, সাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের স্থানান্তর, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স ৪ বছর করা, উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত করা, কারিগরি বোর্ড সংস্কারসহ ছয় দাবি জানিয়ে আসছেন।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, নাঈম ইসলাম জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি মেনে নেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের সুপার এবিএম জিয়াউর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে তিনটি ট্রেন আটকা পড়েছে।
এসএকে/