বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঘাটলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বড় ভাই সাবেক জাফর মেম্বার বলেন, গত শুক্রবার আমার ভাই রাত আটটায় কর্মস্থলে যাওয়ার সময় অপরিচিত দুই সিএনজি ব্যাক্তি আমার ভাইকে ফেনী মোটবীতে নিয়ে যায়। পরবর্তী ওই দুইটা ব্যক্তি পোলায় যায়, শনিবার রাতে আমার ভাইকে সিএনজিতে একলা পেয়ে এলাকাবাসী চোর সন্দেহ গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। পরে আমরা ফেনী মডেল থানায় মামলা করতে গেলে প্রশাসন প্রথমত নিরাপক্ষে হয় বিচার করার আশ্বাস দেয়। কিছুক্ষণ পরে আমরা দেখতে পায়, পুলিশ হত্যাকারীদের পক্ষ হয়ে কথা বলে।
নিহতের বড় ভাই জাফর আরো বলেন, সবসময় হাসিমুখে মানুষকে বরণ করা, সহজ-সরল স্বভাব আর ইসলামী চেতনায় ধর্মচর্চায় তার যে আন্তরিকতা ছিল, তা আমাদের সবার কাছে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। যখনই কারো সাথে দেখা হতো, তার সেই আন্তরিক হাসি আর শান্ত স্বভাব হৃদয় ছুঁয়ে যেতো।
তার বিদায়ে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আদরের একটি নাম।
নিহতের বড় ভাই আরো বলেন, বাহারের স্ত্রী পাঁচ মাসের আত্মসন্তা বাহারের মা-বাপ কেউ নেই, স্ত্রীর পরিবার একেবারে অসচ্ছল ।
নিহতের বড় ভাইয়ের দাবি ফেনী ও নোয়াখালীর প্রশাসনের নিকট বাহার হত্যার ন্যায় বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই । এবং তার পরিবারের জন্য ভরণপোষণ চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সেফ লাইফ ব্লাড অর্গানাইজেশনের পরিচালক জনাব শাহাদাত, বর্তমান রানিং মেম্বার জনাব জাকের হোসাইন, রিয়াজুল জান্নাহ মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুল হালিম, আরো উপস্থিত ছিলেন নিহত ব্যক্তির পরিবার ও এলাকার অন্যান্যরা।
আরএইচ/