কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়ন কামারচর উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা কবির হোসাইনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মসজিদ কমিটিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বাদ আসর ওই মসজিদের সামনে খোলা মাঠে সালিশ বৈঠক হয়।
এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মো. নাদিরুজ্জামান নাদু মিয়ার ছেলে মো. আক্তার হোসেনকে জুতাপেটা করে ইমাম সাহেবের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করান এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় ছেলে মো. আক্তার হোসেনের পক্ষ হয়ে তার বাবা মো. নাদিরুজ্জামান নাদু মিয়াও ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা কবির হোসাইনের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। ইমাম সাহেবের পরবর্তী নিরাপত্তার জিম্মাদার নিয়েছে মসজিদ কমিটি।
এ সময় বক্তব্য দেন মো. নাসির উদ্দিন নয়ন, ডা. মাহবুব আলম, মো. কামাল উদ্দিন, মো. খলিলুর রহমান মেম্বার, মো. সাদেকুর রহমান সরকার, মো. বাছির উদ্দিন মেম্বার ও মো. কবির হোসেন মেম্বার প্রমুখ।
সালিশ বৈঠকে বক্তারা বলেন, গত তিন দিন আগে মক্তবে ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা কবীর হোসাইন একটি ছাত্রকে শাসন করতে গিয়ে বেত্রাঘাত করাকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে মসজিদের ইমাম মাওলানা কবির হোসাইন বাড়িতে যাওয়ার পথে ওই এলাকার মো. নাদিরুজ্জামান নাদু মিয়ার ছেলে মো. আক্তার হোসেন ইমাম সাহেবের সাথে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন।
উত্তেজিত অবস্থায় সবার সামনে ইমামের গালে চপেটাঘাত করেন। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীও এতে লজ্জিত হন।
এ বিষয়টি স্থানীয় উলামায়ে কেরামদের নজরে পড়লে তারা তাৎক্ষণিক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগ করে একটি সুষ্ঠু সমাধান ও ন্যায়বিচার দাবি জানান। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজন করা হয় সালিশ বৈঠকের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুফতি উসমান গনি, মাওলানা ফরহাদ হোসাইন, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা নাজমুল হাসান রব্বানী, মাওলানা বায়জিদ আহমদ , মাওলানা শামিম আহমদ ,মাওলানা আব্দুল হান্নান,হাফেজ মাওলানা আশিকুর রহমান,মাওলানা আক্তার হোসেন, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম ও হাফেজ মাওলানা সাইদ আহমদ সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
এসএকে/