সিলেট সিটি কর্পোরেশন ১০নং ওয়ার্ডের ঘাসিটুলা এলাকার জোরপূর্বক শিশুকে মাদক সেবন করানোর প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুর চাচা ও চাচী আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ আগস্ট শনিবার বিকাল ৩ টায়।
জানা যায়, নগরীর ঘাসিটুলার বাসিন্দা দিন মজুর শেখ শফিক আহমদের ছেলে শেখ ইমরান (১১) তার বাসা বেড়াতে এসেছে। ইমরানের উপর প্রতিবেশী মাদকসেবি ও চোরাকারবারি জমসেদ মিয়া’র কুনজরে পড়ে। শিশুটিকে প্রায়শই ইশারা ইঙ্গিতে জমসেদ ও তার দুই ছেলে ইমন ও রিমন ডেকে নিয়ে যায় এবং গাজা, ইয়াবার প্রতি আকর্ষিত করার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে।
ঘটনার দিন ২৩ আগস্ট বিকেল তিনটার দিকে ইমরানকে প্রলোভন দেখিয়ে জমসেদ তার ঘরে নিয়ে যায় এবং মাদক গ্রহণে বাধ্য করে। পাশাপাশি বাসার বাসিন্দা হওয়ায় ইমরানের চিৎকার শুনে শিশুর চাচী রানী আক্তার তার ভাসুরের ছেলে ইমরানকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থরে যায়। সে তার শিশু ভাতিজাকে এভাবে জোরপূর্বক মাদকতা সেবন করার প্রতিবাদ করলে মাদকসেবী জমসেদ তেড়ে আসে এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে রানী আক্তারকে আঘাত করে।
খবর পেয়ে রানী আক্তারের স্বামী শেখ শফিক ঘটনাস্থলে আসলে জমসেদ, ইমন, রিমন সহ ৭/৮ জনের সঙ্ঘবদ্ধ চক্রটি দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে শেখ শফিক আহমদ ও রানী আক্তারের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের হামলায় স্বামী ও স্ত্রী দু’জনই আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা বলেন, এর ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দেয়।
উল্লেখ্য, জমসেদ ও তার দুই সন্তান ইমন ও রিমন দীর্ঘদিন ধরে অত্র এলাকায় মাদকদ্রব্য চোরা চালানের সাথে সক্রিয় রয়েছে। এলাকার নিম্ন আয়ের কিশোরদের টার্গেট করে তাদের কাছে গাজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, হিরোইন বিক্রি করে বিপথগামী করছে।
আহত হতদরিদ্র দিনমজুর শেখ শফিক আহমদ এলাকার সচেতন মহল ও সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি চেয়েছেন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায়, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরএইচ/