বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
কোনাবাড়ী উলামা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন বৃহস্পতি ও শুক্রবার খালেদা জিয়াকে বিদেশে না নিলে তারেক রহমান দ্রুত দেশে আসবেন : এ্যানি অপরাধ প্রবণতা কমাতে মডেল মসজিদগুলো সহায়ক হবে: ধর্ম উপদেষ্টা কে কোথায় থেকে লড়বেন এনসিপির আলোচিত নেতারা? যেভাবে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় সেই গৃহকর্মী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে এনসিপির মনোনয়ন পেলেন মাওলানা আশরাফ মাহদী পাঁচ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় এনসিপির প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা: জয়-পলকের বিরুদ্ধে শুনানি আজ

বন্যায় দুর্ভোগে তিস্তাপারের মানুষ, ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া তিস্তার পানি কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে নদীপারের মানুষদের। রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তাপারে সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি পরিবারগুলো ঘরে ফিরতে পারেনি এখনও। সেতু প্রতিরক্ষা বাঁধ ধসে পড়ছে। ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় অনেকে তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বেলা ১২টায় তা ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা তিনটার পর থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ফলে ভাটি এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দেয়। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তবে শুক্রবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। 

আগামী দু’দিন এই অঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানা গেছে । এতে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে স্বল্পমেয়াদি বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু রক্ষা বাঁধটি গত দুই বছরের বন্যায় বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকদিন ধরে নদীতে পানি বাড়া-কমায় সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার জায়গায় ব্লক ধসে স্থানটিতে প্রায় ৭০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র স্রোত সরাসরি এসে আঘাত হানছে বাঁধের গায়ে। এতে নিচের অংশের মাটি ভেসে গিয়ে ধসে পড়ছে ব্লকগুলো। 

এমএম/ 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ