চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয়দের হামলায় অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। চাঁদা দাবি ও দোকান দখল সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন এলাকার একটি দোকানসংলগ্ন স্থানে এ হামলা হয়। আহতদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার দাবি জানান।
ঘটনার পেছনের কারণ
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের একটি দোকানের আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে কিছু শিক্ষার্থী নতুনভাবে তা ভাড়া নেন। এরপর থেকেই স্থানীয় একটি চক্র দোকানটি দখল নিতে এবং চাঁদা আদায় করতে চাপ দিতে থাকে।
২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন,
“আমাদের জুনিয়ররা দোকানটি ভাড়া নেওয়ার পর ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বাবুল তার লোকজন নিয়ে এসে চাঁদা দাবি করেন ও ভয়ভীতি দেখান। এতে রাজি না হলে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।”
আরেক শিক্ষার্থী ইমাম হাসান বলেন,
“ঘটনার ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের কেউ আসেনি। এভাবে আমরা কীভাবে নিরাপদে পড়াশোনা করব?”
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া নেই, ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষার্থীরা
হামলার দীর্ঘ সময় পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভে বসেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া
ঘটনার খবর দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এসএকে/