মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয় : মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বিএনপির সঙ্গে জোট করার বিষয়ে যা বললেন রাশেদ খাঁন মহাসড়কে পড়ে ছিল নৌবাহিনী সদস্যের মরদেহ জামিন পাননি বাউল শিল্পী আবুল সরকার, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ‘দীনি শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত মানের ঘাটতি উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে’ আলোকিত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই : মাসুদ সাঈদী এবার লাখো কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত আয়োজনের ঘোষণা হুমায়ুনের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের বৈঠক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে আইনি নোটিশ

পদ্মায় তলিয়ে গেল দোতলা মসজিদ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

শরীয়তপুরের জাজিরায় ভয়াল রূপ নিয়েছে পদ্মা নদী। একের পর এক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও স্থাপনা গিলে খাচ্ছে নদী। সবশেষ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের আলম খাঁর কান্দি জামে মসজিদের দোতলা ভবনটি। মুহূর্তের মধ্যে পাকা মসজিদটি ধসে গিয়ে বিকট শব্দে পানির নিচে তলিয়ে যায়।

এই ঘটনার পর পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মসজিদের ধ্বংসস্তূপ ও ভাঙনের ভয়াবহ দৃশ্য দেখে অনেক মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্থানীয়দের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে পুরো এলাকা মানচিত্র থেকেই হারিয়ে যাবে।

প্রত্যক্ষদর্শী আবির মালত বলেন, ‘সকালে খবর পাই মসজিদের গায়ে ফাটল ধরেছে। আমরা দৌড়ে নদীর পাড়ে যেতেই হঠাৎ বিকট শব্দে মসজিদটা নদীতে তলিয়ে যায়। এমন দৃশ্য জীবনে কখনও দেখিনি। মনে হচ্ছিল, সবকিছু শেষ হয়ে গেল।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর থেকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এরপর থেকে কয়েক ধাপে রক্ষা বাঁধের প্রায় ৭৫০ মিটার এলাকা পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর প্রভাবে ইতোমধ্যে অন্তত ৫০টি বসতবাড়ি এবং প্রায় ৩০টি দোকান নদীগর্ভে চলে গেছে।

ভাঙনের ভয়ে শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। ঝুঁকির মুখে রয়েছে আরও অন্তত ৬০০ পরিবার এবং মাঝিরঘাট বাজারের ২০০টিরও বেশি দোকান।

ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড অস্থায়ীভাবে জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে, যার ব্যয় প্রায় ৫ কোটি টাকা। কিন্তু তাতেও ভাঙনের গতি রোধ করা যাচ্ছে না। বরং সেই জিওব্যাগসহ আরও ১৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ