মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
আবারও ‍খুলে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত স্বাধীন দেশে থেকেও আমরা ছিলাম পরাধীন: ফয়জুল করীম নোয়াখালীতে কোরআন তালিমে হামলার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী/ভাতা পুনঃনির্ধারণ: অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবার এক টাকা কেজি গরুর গোশত বিক্রির ঘোষণা এমপি প্রার্থীর! ‘দায়সারা গোছের তামাশার নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’ নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করার উদ্যোগ নিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল শায়খ আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও তরুণ প্রজন্মের দিকভ্রান্তি

রাজবাড়ীতে পদ্মার তাণ্ডব: ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাউয়াজানি ও মুন্সীবাজার এলাকায় কয়েকদিন ধরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীতে। ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ৫০ বিঘা কৃষিজমি। ঝুঁকির মুখে রয়েছে শতাধিক বাড়িঘর, ফসলি জমি, কবরস্থান, স্কুল, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার ও বাজার। আতঙ্কে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে নদীপাড়ের মানুষের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দেবগ্রামের মুন্সীবাজার ও কাউয়াজানিতে পদ্মার ভাঙন দিনে দিনে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীতে ভেঙে পড়েছে ফসলি জমি। দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের একটা বড় অংশ নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড বা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল মুন্সী বলেন, “গত বছরও এই সময় ভাঙন শুরু হয়েছিল। আমরা তখন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলাম। পরে মাত্র ১২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়। কিছুটা কাজ হলেও স্থায়ী সমাধান আসেনি। এবার আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আবার আমরা মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করব।”

কাউয়াজানির কৃষক সালাম ফকির বলেন, “জমিতে পাট ছিল, সব নদীতে চলে গেল। এখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব, কিছুই বুঝতে পারছি না। যদি দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলা না হয়, এই এলাকাটা বিলীন হয়ে যাবে।”

দেবগ্রাম মুন্সীপাড়ার আছিয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “তিনবার নদী আমাদের বাড়ি কেড়ে নিয়েছে। এখন আর জায়গা নেই সরে যাওয়ার। রাস্তায় না ঘুমিয়ে উপায় থাকবে না। সরকার যেন অন্তত কিছু করে আমাদের জন্য।”

একই এলাকার রফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বাপ-দাদার কবর নদীতে চলে গেছে। অনেক সরকার এলো, গেলো; সবাই আশ্বাস দিয়ে গেছে, কিন্তু পদ্মা শাসনের কাজ আর করল না কেউ।”

এ বিষয়ে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আল আমিন জানান, “দেবগ্রাম এলাকায় ভাঙনের খবর পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ