শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
গাজায় বোমা বিস্ফোরণে ৪ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত রাশিয়া থেকে এক হাজার সেনার মরদেহ ফেরত পেল ইউক্রেন যৌথ বাহিনীর অভিযান: সারাদেশে আটক ২৯ জন কচুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিসের নতুন কমিটি ঘোষণা কেবল নেতা পরিবর্তন করতে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই : শায়েখে চরমোনাই জুলাই চেতনার সাথে গাদ্দারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না : নেজামে ইসলাম পার্টি  চাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ঘোষণা হক্কানী আলেমদের পরামর্শে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতির জন্য কল্যাণকর: জমিয়ত আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল শনিবার ঢাকায় কচুয়ার উলামায়ে কেরামের মতবিনিময় সভা

আখাউড়া স্থলবন্দরে পচে গেল আমদানিকৃত ২২৮ টন গম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আখাউড়া স্থলবন্দরে গত দুই বছর ধরে গুদামে পড়ে থাকা ভারত থেকে আমদানি করা ২২৮ টন গম পচে নষ্ট হয়ে গেছে। শুল্ক কর্তৃপক্ষের গড়িমসির কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খালাস না করায় গমগুলো নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের দাবি, নষ্ট গমগুলোর ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৮০ লাখ টাকা। তা ছাড়া বার বার চিঠি দেওয়ার পরেও আমদানিকারক গমগুলো ছাড়াতে আগ্রহী না হওয়ায় বিপাকে পড়ে কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে সঠিক সময়ে খালাস না হওয়ায় গমগুলো এখন পশু-পাখিদের খাদ্যেরও উপযোগী নয়।

জানা যায়, ২০২২ সালে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টন গম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করেছিল চট্টগ্রামের আলম ট্রেডার্স। প্রতি টন গমের মূল্য ছিল ৩২৫ থেকে ৩৫০ মার্কিন ডলার। বাজারে গমের চাহিদা থাকায় চালানগুলো দ্রুত খালাস করা হয়েছিল। তবে সেই বছর জুনে ভারতে ভারী বর্ষণের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় গম আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর আগস্টে আটকে থাকা গমের চালানগুলো পুনরায় বন্দরে আসতে শুরু করে। কিন্তু দীর্ঘ সময় গুদামে পড়ে থাকার ফলে ২২৮ টন গম নষ্ট হয়ে যায়, যা বর্তমানে পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহারযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।

তবে ভালো গমের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভেজা গম পাঠানো হয়েছে দাবি করে আলম ট্রেডার্সের আখাউড়া স্থলবন্দর প্রতিনিধি মো. আক্তার হোসেন বলেন, গমগুলো ভেজা থাকায় রপ্তানিকারকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে খালাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে শুল্ক কর্তৃপক্ষের দীর্ঘসূত্রতার কারণে সঠিক সময়ে খালাস করা সম্ভব হয়নি। এতে গমগুলো গুদামে পড়ে থাকার কারণে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এখন আর এগুলো ছাড়ানোর কোনো অর্থ নেই, কারণ গমগুলো পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহারের উপযোগী হারিয়েছে।

আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মো. ইমরান হোসেন বলেন, গমগুলো ভেজা এবং নিম্নমানের হওয়ায় আমদানি নীতিমালা অনুযায়ী ছাড় দেওয়া সম্ভব ছিল না। তখন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি, তারা গমগুলো খালাসে আগ্রহ দেখায়নি।

তিনি আরও বলেন, গমগুলো পশুখাদ্য হিসেবে উপযুক্ত কি-না, তা পরীক্ষা করার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তবে প্রাথমিক পরীক্ষার রিপোর্টে বিষয়টি নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় পুনরায় রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নতুন রিপোর্ট আসার পর গমগুলো বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানান।

এমএন/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ