রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
জমিয়ত আজ যা বলে কালও তাই বলে: মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বিএনপিও আ.লীগের মতো হত্যার রাজত্ব কায়েম করেছে: নুর বিএনপিকে ‘চাঁদাবাজি ও খুনাখুনির’ রাজনীতি বন্ধ করতে বলল হেফাজত পাথর মেরে হত্যার নিন্দা ও পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান জমিয়তের ইয়ামিনকে গুলি করা সেই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার ‘চাঁদাবাজিতে আতঙ্কগ্রস্ত জাতি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন’ মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ড আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে: শায়খে চরমোনাই গাজায় ইসরায়েলি ব্যর্থতা ও প্রতিরোধ আন্দোলনের কৌশলগত উত্থান জুলাই যোদ্ধাদের ‘জাতীয় বীর’ উপাধি দিতে হবে: মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ‘নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজ ও খুনিদের ঠাঁই হবে না’

খুলনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নেতার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
মারা যাওয়া ইউশাহ

খুলনা নগরীর আড়ংঘাটা থানার গাইকুর গ্রাম থেকে হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ইউশাহ (১৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) লাশটি উদ্ধার হয়। নিহতের বাবা খায়রুজ্জামান ববি দাবি করেছেন, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তবে, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় আড়ংঘাটা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

মারা যাওয়া ইউশাহ আড়ংঘাটা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খায়রুজ্জামান ববির ছেলে। তিনি নগরীর হাজী মহসিন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের আড়ংঘাটা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইউশাহ। 

জানা যায়, নিহত ইউশাহ’র বাবা খায়রুজ্জামান ও মা ঘটনার দিন দুপুর ২টার দিকে একটি দাওয়াতে অংশ নিতে বাড়ি থেকে বাইরে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়িতে ফিরে গেট বন্ধ দেখতে পান তারা। অনেক চেষ্টা করে গেট খুলে বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং ছেলেকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। সাড়া শব্দ না পেয়ে খায়রুজ্জামান বাড়ির পেছনের জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে হাত- পা বাঁধা, চোখে গামছা, বাঁশের আড়ার সঙ্গে ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুত ঘরের দরজা ভেঙে স্বজনদের সহায়তায় ছেলেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউশাহকে মৃত ঘোষণা করেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন বলেন, গতকাল সোমবার বিকেলে বাবাসহ অন্য স্বজনরা গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইউশাহ’র মৃতদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে আমরাও হাসপাতালে গিয়ে দেখি। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি। এ ব্যাপারে সোমবার রাতেই আড়ংঘাটা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ দাফন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে কারণ উদঘাটনে সহজ হবে। তারপরও আমাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

নিহত ইউশাহ’র বাবা খায়রুজ্জামানের অভিযোগ, আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। কে বা কারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের আড়ংঘাটা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিল মারা যাওয়া ইউশাহ। তার মৃত্যুর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ