বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫ ।। ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যেসব আমলে নবীজি সা. এর স্বপ্ন দর্শনের আশা করা যায় দিঘলিয়ায় হাতপাখা প্রতীকের উঠান বৈঠক ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫: বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ নামধারীদের বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: জাতীয় উলামা কাউন্সিল গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা চট্টগ্রামে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গাড়ি ছিটকে পড়ে পথচারী নিহত, আহত ৪ দক্ষিণ বাসাবো বালুর মাঠে শুরু হলো জাতীয় তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে আন্দোলনরত ৮ দলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে আংশিক পরিবর্তন বিশ্ব পাইলস দিবস : কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে জটিলতা—সমাধানে সচেতন ও পরিকল্পিত জীবনধারা

ইমামকে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে দিন : পেশ ইমাম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ঢাকা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : আওয়ার ইসলাম

।।হাসান আল মাহমুদ।।

ইমাম। সমাজের আইডল। সমাজের নেতা। মানুষের ভালোবাসা। সমাজের সুখ-দুঃখের সাথী। একজন ইমাম সমাজ জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলে যাচ্ছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে কী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন সেসব নিয়ে আওয়ার ইসলামকে তথ্য জানিয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিউদ্দিন কাশেম 

 

মুফতি মুহিউদ্দিন কাশেম বলেন, সমাজে ইমামদের দায়িত্ব। ভূমিকা অনেক বেশি। এর কারণ হলো রাসূল সা. বলেছেন- ‘কিয়ামতের ময়দানে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার অীধনস্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।’ তো, অধিনস্ত বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। বাবার অধীনে ছেলে, সেও একজন অধিনস্ত। এরকমভাবে কর্মচারীসহ নানা ভাবেই হয়ে থাকে অধিনস্ত। বিশেষ করে যারা ইমাম রয়েছেন, তাদের অধিনস্থ সমাজের প্রত্যেকটা মানুষ। তাই, তাদেরকে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে সমাজের যতো অন্যায়-অবিচার, পাপাচার আছে, সবগুলোকে সুন্দরভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরে দিকনির্দেশনা দেওয়া একজন ইমামের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এতে কোনো ব্যক্তির কষ্ট পাওয়া উচিত নয়।

মুফতি মুহিউদ্দিন কাশেম আরও বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, আমাদের সমাজে ইমামগণ সে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রোষানলের স্বীকার হচ্ছেন। অনেকের ইমামতিও ইস্তফা দিতে হয়। এটা খুবই দুঃখজনক। সমাজের উচিত ইমামের মূল্যায়ন করা। একজন ইমামকে যদি সঠিক ও বিশুদ্ধ ত্বরিকায় নববী কাজ করতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়, তাহলে এর সুফল শুধু সমাজই নয়, বরং গোটা দেশ ভোগ করে।

এজন্য বাস্তবজীবনে দেখা যায়, যে মহল্লায় ইমামকে স্বাধীনভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয়, আর ইমামও সঠিক আক্বিদায় নববী পদ্ধতিতে কাজ করেন, সে মহল্লা অন্যায়, নাচগান, শিরিক-বিদাত মুক্ত থাকে। আর যে মহল্লার ইমামকে চুপ করে থাকতে দেয়া হয়, সে মহল্লা অন্যায়, সুদ-ঘুষ, শিরিক-বিদআতের আখরা বনে যায়। 

হুআ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ