শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

এ কেমন রোজা?:মুফতি তাকি উসমানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহিনুর মিয়া রোজা তো -মাশাআল্লাহ- বড় আগ্রহের সাথেই রাখেন। কিন্তু রোজার অর্থ কী? রোজার অর্থ হচ্ছে, খানা-পিনা এবং প্রবৃত্তির চাহিদা পূরণ থেকে বিরত থাকা। রোজার সময় এ তিনটি বিষয় অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হয়।

এবার লক্ষ্য করুন! এ তিনটি বিষয় এমন যা মূলত হালাল। খাবার খাওয়া, পানি পান করা এবং বৈধ পদ্ধতিতে স্বামী-স্ত্রী তাদের প্রবৃত্তির চাহিদা পূরণ করা হালাল। রোজার দিন গুলোতে আপনি এসব হালাল বিষয় গুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখা। অর্থাৎ- আপনি খাচ্ছেন না, পানও করছেন না ইত্যাদি।

কিন্তু যেগুলো পূর্ব থেকেই হারাম ছিল। যথা- মিথ্যা বলা, গিবত করা, কুদৃষ্টি দেয়া এগুলো পূর্ব থেকেই হারাম ছিল। অথচ এখন রোজাও রাখা হচ্ছে- মিথ্যা কথাও বলা হচ্ছে, গিবতও করা হচ্ছে, কুদৃষ্টিও দেয়া হচ্ছে, রোজাদার অথচ সময় কাটানোর নামে নোংরা ফিল্মও দেখছে।

তাহলে আমার প্রশ্ন, পূর্ব থেকে হালাল বিষয়সমূহও রোজার ভিতর ত্যাগ করা হলো অথচ হারামসমূহ ত্যাগ করা হলো না, তাহলে এটা রোজা হলো কি?

তাই তো হাদীস শরীফে নবি করিম সা: বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা বলেন- যে ব্যক্তি রোজার মধ্যে মিথ্যা কথা ছাড়ে না, তার ক্ষুধার্ত আর পিপাসার্ত থাকায় আমার কোন প্রয়োজন নেই।’ [আল হাদীস]

যেহেতু মিথ্যা কথাই ছাড়েনি যা পূর্ব থেকে হারাম, তবে খানা-পিনা ছেড়ে সে এমন বড় কী আমল করে ফেলল!

সূত্র: ইসলাহী খুতুবাত


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ