শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

কোনো একক ইমামের তাকলিদ কি জরুরি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি রফি উসমানি।।

প্রশ্ন: চার ইমামের মধ্যে যেকোনো এক ইমামের তাকলিদ বা আনুগত্য করা কি জরুরি?

উত্তর: এই প্রশ্নটি অনেকে করে থাকেন। এর বিস্তারিত জবাব শুনে নিন। কুরআনে কারীম নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করতে বারণ করেছে। এর দ্বারা জানা গেল, প্রবৃত্তির অনুসরণ করা হারাম।

আর এই হারাম থেকে বাঁচার উপায় হলো কোনো একজন ইমামের অনুসরণ করা। এমনটা করা যাবে না যে, কিছু বিষয়ে এই ইমামের অনুসরণ করলাম আর কিছু বিষয়ে অপর ইমামের অনুসরণ করলাম।

এমনটা করার সুযোগ দিলে লোকেরা নিজেদের মনখুশি মতো এই ইমামের কিছু অনুসরণ করবে, আরেক ইমামের কিছু অনুসরণ করবে। যেখানে যা সুবিধাজনক বলে মনে হবে তাই করবে। যেহেতু এটা করা হারাম এজন্য এক ইমামের অনুসরণ করা জরুরি।

দ্বিতীয় বিষয় হলো, কোনো এক ইমামেরও অনুসরণ না করার দ্বারা অনেক সময় এমন অবস্থায় সৃষ্টি হবে যাতে তার আমল একদমই শরিয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য হবে তা না। অথচ সেই ব্যক্তি নিজ থেকে এই আমলকে সঠিক বলে মনে করছে। যেমন ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর মতে শরীরের যেকোনো স্থান থেকে রক্ত বের হয়ে নিজ স্থান থেকে প্রবাহিত হলেই ওজু ভেঙ্গে যাবে।

অপরদিকে ইমাম শাফেরি রহ.-এর মতে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার দ্বারা ওজু ভাঙ্গবে না। বিপরীতে একটি মাসআলা আছে। কোন পর্দা ছাড়া সরাসরি নারীকে স্পষ্ট করলে ইমাম শাফেয়ি রহ.-এর মতে তার ওজু ভেঙ্গে যাবে। আর ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর মতে ওজু ভাঙ্গবে না।

এবার কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে উল্লিখিত দুটি ঘটনাই ঘটল। অর্থাৎ তার শরীর থেকে রক্ত প্রবাহিত হলো এবং কোনো পর্দা ছাড়া সরাসরি নারীকে স্পর্শ করলেন। তিনি ভাবলেন, আজ অনেক ঠান্ডা, ওজু করা অনেক কঠিন। রক্ত প্রবাহিত হওয়ার ব্যাপারে ইমাম শাফেয়ি রহ.-এর মাযহাব অনুসরণ করি।

সুতরাং ওই ব্যক্তি ওজু ছাড়া নামায আদায় করলেন। তিনি এমনটা করলে দুই ইমামের কারও কাছেই তার নামায বিশুদ্ধ হবে না। অথচ তিনি মনে করছেন, তার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে।

বিষয়টি একটি দৃষ্টান্ত থেকেও বুঝে নিন। আপনি এক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাচ্ছেন। একই সময়ে একই রোগের চিকিৎসা আরেক ডাক্তারের কাছে শুরু করলেন। কিছু ওষুধ বলে দিলেন এক ডাক্তার, আরও কিছু ওষুধ বলে দিলেন আরেক ডাক্তার। এবার আপনি আপনার খুশি মতো সেই ওষুধ সেবন করতে লাগলেন।

ভাবলেন, এই ডাক্তারের সিরাপটা ভালো, এটা খাই। আরেক ডাক্তারের ট্যাবলেটটা ভালো, সেটাও খাই। এবার বলুন তো এর পরিণতি কী হবে? এই ঘটনা যারা মাযহাব মানার ব্যাপারে নিজেদেরকে স্বাধীন মনে করে, তারা মূলত আল্লাহ, রাসূল কিংবা চার ইমামের অনুসরন করে না। তারা সরাসরি শয়তানের অনুসরণ করে থাকে। কুরআনে কারীমে এটা স্পষ্ট নিষেধ করা হয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ