সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ওমরায় গেলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে এক টাকাও লুটপাট হবে না: শায়খে চরমোনাই কোরআন অবমাননার দায় স্বীকার সেই অপূর্ব পালের জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা দলগুলোর কর্মসূচি ঘোষণা তুরস্কে স্কলারশিপ পেলেন ৫ শিক্ষার্থী, এমবিএম ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা পাকিস্তানের শীর্ষ আলেম মাওলানা ফজলুর রহমান সিলেটে আসছেন ১৭ নভেম্বর জামায়াতের নির্বাচনি সভা ভণ্ডুল করে দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলায় দুই মাদরাসা শিক্ষককে হয়রানি, মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন চাঁদা না পেয়ে মসজিদের ইমামকে মারধর, স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনরত দলসমূহের যৌথ সংবাদ সম্মেলন

অপছন্দের জিনিসও জীবনে কাজে আসতে পারে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:।। দাঁড়িয়ে আছি রাস্তায়৷ গাড়ির জন্য৷ সাথে লিফলেট, ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন, দাওয়াতকার্ড ইত্যাদি৷ পোটলা দুটি বেশি ওজনি না হলেও, সাইজে বড়ো দেখাচ্ছিলো৷ গাড়িও পরপরই আসছে৷ কিন্তু কোনো গাড়ি আমাকে নিতে আগ্রহ দেখায়নি৷ কারণ, মালগুলোর কারণে হয়তো দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার সমস্যা হতে পারে৷

আমিও ভাবছিলাম, এগুলো সাথে করে গাড়িতে ওঠা কষ্টই৷ যে গাড়িগুলো রোডের সার্ভিস ভালো সাধারণ সেগুলো দিয়েই চলাফেরা করি৷ কিন্তু অন্য দিন আমাকে নিতে আগ্রহ দেখালেও, সাথে পোটলা থাকায় আজ কেউই আগ্রহ দেখালো না৷

দাঁড়িয়ে ভাবছি কী করা যায়৷ মনে জাগলো আচ্ছা বি, আর, টি, সি দুতলা বাসে যেতে পারবো৷ বলে রাখি, এই দুতলা বাসটি আমার অপছন্দের৷ চলে ধীরগতিতে৷ জাগায় জাগায় থামে৷ ইত্যাদি কারণে এই গাড়িটি আমার অপছন্দের৷ পারতপক্ষে এটিতে ওঠি না৷

কিন্তু আজকে দেখলাম, এটি ছাড়া আমার কোনো গতি নেই৷ তাই সিদ্ধান্ত নিলাম এটিতেই ওঠবো৷ এতোক্ষণে অপছন্দের বি, আর, টি, সি বাস আসছে দেখা যায়৷ আমাকে দাঁড়ানো দেখেই গতি স্লো করে দেয়৷ মনে হলো, তারা আমাকে সম্মান করলো৷ গুরুত্ব দিলো৷

আমিও রোডের যাত্রী বিপদে পড়েছি, তারা বুঝতে পারলো৷ আমি ওঠে বসলাম৷ আনন্দও পেলাম আমার অপছন্দের বাসটি আমাকে মূল্যায়ন করে বিপদের উপকার করার জন্যে৷

বসে বসে ভাবছি আর সামনে চলছি৷ আচ্ছা, তাহলে জীবনের অপছন্দের জিনিসও জীবনের কোনো বাঁকে প্রয়োজন পড়তে পারে৷ জীবনের কোনো বিপদে সহযোগী হয়ে পাশে দাঁড়াতে পারে৷ কারণ, কার জীবন কখন কীভাবে কাটে- বলা মুশকিল৷ কখন কার কোন জিনিসের প্রয়োজন পড়ে যায়- বিষয়টি অজানা৷ কখন কে কীভাবে বিপদে পড়ে যায়- তাও বলা অনিশ্চিত৷ সুতরাং, কোনো কিছুকে অবজ্ঞা, অপছন্দের চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে যাওয়া বোধহয় ঠিক হবে না৷

শেখ সাদি রহ় যথাযথই বলেছেন, শত্রুকে চিরশত্রু মনে করে শত্রুতা করার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করো না৷ কারণ, জীবনের কোনো সময়ে এসে সে তোমার একান্ত বন্ধু হয়ে যেতে পারে৷ তখন তোমার অতিরিক্ত শত্রুতার কারণে লজ্জা পেতে হবে৷

আবার একান্ত বন্ধুর সাথেও জীবনের ভেদ করা বলে ফেলো না৷ কারণ, সময়ের বিবর্তনে, মন-মানসিকতার পরিবর্তনে জীবনের কোনো স্তরে এসে সে তোমার শত্রু হয়ে যেতে পারে৷ তখন কিন্তু তোমার বলা ভেদ কথার দ্বারাই সে তোমাকে গায়েল করে ফেলবে৷

সুতরাং, সর্বক্ষেত্রে আমাদের একদম বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ি পরিহার করতে হবে৷ ইনসাফের নজরে সবকিছু দেখতে হবে৷

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ