শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৫


সব পথ এসে মিশে গেছে যেখানে: মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ কাসেমী।। দাওয়াত ও তাবলিগ মানুষকে কল্যাণের পথ দেখিয়েছে। ন্যায়ের পথ দেখিয়েছে। সরলতার পথ দেখিয়েছে। সমাজের অসংখ্য মানুষ এমন পাবেন যারা দাওয়াত ও তাবলিগের বদৌলতে দীন পেয়েছে। ধর্মের আলো পেয়েছে। দাওয়াত ও তাবলিগের মাধ্যমে মানুষ দ্বীনের পথে এসেছে। চুরি-রাহাজানি, খুন-খারাবি, ছিনতাই ও অন্যায়ের পথ থেকে বিরত থেকেছে। বিশ্বজুড়ে পরিচালিত এমন পথ খুব কমই পাবেন, যে পথে মানুষ এত দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে। মানুষকে পরিবর্তনের একটি রোল মডেল হল দাওয়াত ও তাবলিগ।

তাবলিগের সবচে বড় জাময়েত ‘বিশ্ব ইজতেমা’। এখানে সব পথ এসে মিশে গেছে। অন্যজায়গায় তার অন্য কোনো পরিচয় থাকলেও এখানে সবার পরিচয় একটাই। তিনি আল্লাহর বান্দা। নবীর উম্মত। দীনের খাদেম। সবার মাঝেই বিরাজ করে ঐক্যবদ্ধতা। বজায় থাকে হৃদ্যতা। পরস্পর বিনিময় করেন সহানুভবতা। বিরাজ করে মহানুভবতা।

সাহাবায়ে কেরাম রা. দীনের দাওয়াতকে নিজেদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের যেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন, তারা সেভাবে দীনকে অন্যদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এভাবে ধারাবাহিকতা চলতে চলতেই আমাদের পর্যন্ত দীন পৌঁছেছে। হযরতজি ইলিয়াস রহমাতুল্লাহি আলাইহি দাওয়াত ও তাবলিগের কাজকে সর্বপ্রথম আল্লাহর ইচ্ছায় ও ইলহামীর মাধ্যমে শুরু করেছেন। সব সময় আল্লাহ কাছে দোয়া করতেন ও এ কাজে জোড়ে থাকতেন। যার বদৌলতে আজ দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রান্তে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনত চলছে। বিশ্বজুড়ে ইসলামকে উপস্থাপন করার একটি মাধ্যম হিসেবে আজ স্বীকৃতি পেয়েছে দাওয়াত ও তাবলিগ।

বিশ্বে দাওয়াত ও তাবলিগের পদ্ধতি সম্পর্কে যদি আলোচনা করতে চাই তাহলে বলবো, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে পদ্ধতিতে দাওয়াতের মেহনত করেছেন, আমাদেরও সে পদ্ধতিতে দাওয়াতের মেহনত করা উচিত। কেননা তার পদ্ধতি ছিল সর্বযুগের জন্য রোল মডেল। যদিও কেউ কেউ বলেন, যে এখন সময় চেঞ্জ হয়েছে। তাই পদ্ধতিতেও চেঞ্জ আনা উচিত। কিন্তু আমি মনে করি বিষয়টি এমন নয়। বরং তিনি ছিলেন সর্বযুগের জন্য আধুনিক। তার পদ্ধতিও ছিলো সর্বযুগের জন্য আধুনিক। এতে পরিবর্তন-পরিবর্ধনের কোনো সুযোগ নেই।
তাবলিগের মাঝে জোর-মিল-মহব্বত এখনো জারি আছে। তবে তার জন্য শর্ত হলো নিজের ভিতর ঈমানের হাকীকত ও বাস্তবতা থাকতে হবে। একরামুল মুসলিমীনের প্রতি পূর্ণভাবে সচেতন হয়ে উলামায়ে কেরামের পরামর্শে ও তত্ত্বাবধানে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ করতে হবে। যেহেতু এ কাজের সূচনা করেছেন আলেম। তাই যদি আলেমদের দ্বারা এ কাজ চলমান থাকে তাহলেই তাবলিগের মেহনত আবারো পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।

-এটি


সম্পর্কিত খবর