শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৫


তাবলিগের যে পরিভাষাগুলো জানা প্রয়োজন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মো: সোহেল রানা- দাওয়াত তাবলিগ। নবীওয়ালা কাজ। রাসুল সা. করেছেন সাহাবারাও করেছেন। এ দীনি জামাতের আছে কিছু পরিভাষা। যেগুলো আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে শুনি। মহান আল্লাহ বিশ্ব মানবতার কল্যাণে বিশ্ব নবী মুহাম্মদ সা. এর মাধ্যমে যে দীন প্রর্বতন করেছেন তার যথাযথ প্রচার-প্রসার করার নামই হচ্ছে তাবলিগ। আমরা সবাই যেনো এ পরিভাষাগুলো সম্পর্কে জানতে পারি।

এখানে বহুল ব্যবহৃত পরিভাষাসমূহ উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে পাঠক মনে রাখা প্রয়োজন ভারতবর্ষের যাদের দ্বারা এটি উদ্বোধিত হয়েছিল তাদের ভাষা ছিল র্উদু। যার ফলে র্উদুর আধক্যি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া আরবি শব্দের আধিক্যও আছে তাতে।

ইজতেমা: সমাবেশ, মহাসমাবেশ। তাবলিগ: পৌঁছানো, প্রচার করা। আমির: দলপতি, নেতা। রাহবার: পথপ্রদর্শক। মামুর: আমিরের অনুসরণকারী। মুতাকাল্লিম: কথক, বক্তা। গাশত: ভ্রমণ, ঘোরাফেরা করা। উমুমি গাশত: দলবদ্ধভাবে দাওয়াতে গমন। খুসুসি গাশত: বিশেষ কাউকে দাওয়াত দেয়ার জন্য ভ্রমণ করা।

তাশকিল: গঠন, রূপদান (জামাত গঠন করা)। তালিম: শিক্ষা (শিক্ষার আসর)। আম বয়ান: সবার উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতা। খাস বয়ান: বিশেষ কোনো শ্রেণীর জন্য প্রদত্ত বক্তৃতা। তায়ারুফি বয়ান: (যে কোনো স্থানে জামাত যাওয়ার পর দেয়া) পরিচিতিমূলক বয়ান। ছয় নম্বর: তাবলিগে অগ্রাধিকার দেয়া সাহাবিদের বিশেষ ছয় গুণ। একরাম: সম্মান দেখানো, সহযোগিতা বা খেদমত করা। ইস্তেকবাল: অভ্যর্থনা। খেদমত: সেবা করা (জামাতের সাথীদের খাবার আয়োজনের দায়িত্ব)।

মাশওয়ারা: পরামর্শ। সামানা: আসবাবপত্র। খিত্তা: টুকরো জায়গা, এলাকা (ইজতেমা মাঠের এলাকা নির্ধারক নাম)। চিল্লা: ৪০ দিনের জন্য বিভিন্ন মসজিদের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়া। তিন চিল্লা: চার মাস মেয়াদে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়া।

সাল: এক বছর আল্লাহর রাস্তায় কাটানো। জোড়: বিভিন্ন স্তরের সাথীদের বিশেষ সম্মেলন। শবগুজারি: তাবলিগের মারকাজে (আল্লাহর রাস্তায়) রাতযাপন। নুসরত: সাহায্য করা (বহিরাগত জামাতের কাজে সহযোগিতা করা)। উসুল: আদায় করা (তাবলিগি সফরের জন্য কাউকে বের করে আনা)। মোজাকারা: পরস্পর আলোচনা।

লেখক: সাব এডিটর আওয়ার ইসলাম


সম্পর্কিত খবর