শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আমার পিতা ছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার অন্যতম পুরোধা: মাওলানা মাহমুদ মাদানী  খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন: গাড়ি পার্কিং ও জরুরি দিকনির্দেশনা বিদেশিদের দালাল আর পাশের দেশের প্রেসক্রিপশনে আর নয়: চরমোনাই পীর গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে জাতির সাথে তামাশার শামিল: অধ্যাপক মাওঃ ইমরান আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জমিয়তের পূর্ণ সংহতি ও সমর্থন কোন দলের আপত্তি কতটা বিবেচনায় নিলেন ড. ইউনূস গণভোটে আমরা রাজি, অপশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন সফল করার আহ্বান মুফতী আবদুল্লাহ ইয়াহ্ইয়ার ঢাকা-১৬ আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রার্থীর পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা নোয়াখালীতে মধ্যরাতে ফুটবল খেলা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ১৮

৬৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন আবুল কালাম আজাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মহানবী সা. শিক্ষা গ্রহণের জন্য সুদূর চীন দেশে যেতে হলেও যেতে বলেছিলেন। তাই আমি আমার ইচ্ছাটা শেষ বয়সে হলেও পূরণ করতে পেরেছি। শিক্ষার কোনো বয়স নেই। বিষয়টি আবারও প্রমাণ করলেন ৬৭ বছর বয়সী আবুল কালাম আজাদ। তিনি এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ২.৯৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নের লংগরপাড়া গ্রামে। অভাবের কারণে তিনি পড়ালেখা করতে পারেননি। তবে তিন ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। বড় ছেলেকে শিক্ষক, মেঝ ছেলেকে কামিল পাস ও ছোট ছেলেকে বানিয়েছেন প্রকৌশলী।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৯৭৫ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম। ১৯৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ায় অভাবের কারণে পড়তে পারিনি। সে সময় পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হয়েছিল। তাই ঢাকায় চলে যাই। ঢাকাতে গিয়ে পড়ালেখা করতে চেয়েছি। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তারপর ঢাকা থেকে সৌদি আরব চলে যাই। সেখানে দীর্ঘ ১৮ বছর থাকি। বাড়ি ফিরে সাংসারিক কাজের ফাঁকে শুরু করি লেখালেখি। ইতোমধ্যে অসংখ্য কবিতা, ছড়া, উপন্যাস ও গান লিখেছি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ২৭টি কবিতা লিখেছি। আর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাঁচটি কবিতা লিখেছি। আমি চাই আমার লেখা কবিতা যেন প্রধানমন্ত্রী হাতে পৌঁছায়।

নতুন করে পড়ালেখা করে পাস করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কালাম বলেন, প্রথমে সবাই হাসাহাসি করলেও এখন আমি পাস করাই তারা খুশি। তারা আমার পরীক্ষার ফলাফলের খোঁজ-খবর নিয়েছে। মহানবী (সা.) শিক্ষা গ্রহণের জন্য সুদূর চীন দেশে যেতে হলেও যেতে বলেছিলেন। তাই আমি আমার ইচ্ছাটা শেষ বয়সে হলেও পূরণ করতে পেরেছি।

কালামের মেঝ ছেলে আরিফুল ইসলাম বলেন, বাবা আমাদের লেখাপড়া ও সংসার চালাতে অনেক কষ্ট করেছেন। তার ইচ্ছে থাকার পরও পড়াশোনা করতে পারেননি। তিনি শেষ বয়সে এসে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন। এতেই আমরা খুশি।

প্রতিবেশী তরুণ রুবেল মিয়া বলেন, এখনকার পোলাপান বয়স থাকতেই পড়ালেখা করতে চায় না। কামাল দাদা এই বৃদ্ধ বয়সে পরীক্ষা দিয়ে পাস করলেন। এটা নিয়ে এলকায় আলোচনা চলছে।

রাকিবুল আওয়াল পাপুল বলেন, চাচা শেষ বয়সে এসে পরীক্ষা দিয়ে পাস করছে। আমরা মাঝে-মধ্যে তার কাছে গিয়ে কবিতা শুনি। তার নিজের লেখা অনেক কবিতা আছে, কবিতা শুনতে ভালোই লাগে।

খড়িয়াকাজীরচরের ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আবুল কালাম আজাদ এই বয়সে এসে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে। তিনি সবার তুলনায় ভালো রেজাল্ট করেছেন। তিনি আমাদের সবার কাছে কবি কালাম নামে পরিচিত।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ