মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ১০ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাওলানা যাইনুল আবিদীন রচিত ‘আমাদের নবীজি’ গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠিত  রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে যুক্তরাজ্যসহ ১১ দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকে সুকুক বিষয়ে শরিয়াহ প্রস্তাবনা প্রদান হিজাব ও দাড়ি নিয়ে বৈষম্য, জড়িতদের শাস্তি দাবি হেফাজতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ : পীর সাহেব চরমোনাই ফজলুর রহমান সময় চাইলেন ৭ দিন, বিএনপি দিল ২৪ ঘণ্টা দাড়ি রাখায় শাস্তি প্রদান ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নেওয়ার শামিল: জমিয়ত ফেসবুকের অন্যায্য আচরণের বিরুদ্ধে জিডি করলেন ইবনে শাইখুল হাদিস অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন: ইসলামী আন্দোলন মহিলা ইউনিট বগুড়ায় সমকামিতা ও এলজিবিটিকিউ এজেন্ডার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

৩ নভেম্বর ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণার দাবি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জেলহত্যা দিবসকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে সোহেল তাজ এই দাবি তুলে ধরেন।

তিনি লিখেন, আগামী ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। দেখতে দেখতে ৪৭ বছর পার হয়ে গেল। অথচ, এখন পর্যন্ত জাতির এই চার বীর, যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম এবং যাদের প্রচেষ্টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে বাংলার বুকে ফিরে পেলাম, আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না!

ওই পোস্টে তিনি তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-

এক. যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে, তাই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।

দুই. ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।

তিন. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

আমি মনে করি, আমার এই তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সবার প্রাণের দাবি।

পোস্টে তিনি একটি কর্মসূচি ঘোষণা করে লিখেছেন, আগামী সোমবার ৩১ অক্টোবর বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে (মানিক মিয়া এভিনিউ) সমাবেশ এবং স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে। এই সমাবেশে স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে অংশ নেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

সোহেল তাজ তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, বিঃ দ্রঃ শোক দিবস একাধিক হতে পারে। যেমন- ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৪ ডিসেম্বর।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতিবছর ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ