মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৬ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
মানবিক-ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই : তারেক রহমান যেকোনো দিন গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার ইসলাহি মজলিস বৃহস্পতিবার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান ইরানি সুন্নি আলেমদের মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গৌরবময় অর্জন আফগানিস্তানে অনৈসলামিক কার্যকলাপের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেয়া হল মাজার দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত শান্তি পাবে না: আ. লীগকে শফিকুল আলম জুলাই বিক্রি হয়ে গেছে : আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান

একজন পর্বতসম ব্যক্তিত্বের বিদায়‌

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা মুহাম্মাদ ইবরাহীম।।

শায়খ ড. ইউসুফ আল কারযাভি। বিশ্ববরেণ্য এক জ্ঞানবৃদ্ধ। বিদগ্ধ আলেমে দ্বীন। মুসলিম বিশ্বের ইসলামী চিন্তাবিদ। বিশ্বব্যাপী এ নামটি এক নামে পরিচিত এবং সুবিদিত। আধুনিক বিশ্বের জটিল মাসআলা সমাধানে তার অবদান অসামান্য।

তিনি আজ আর আমাদের মাঝে নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বড় অসময়ে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। একজন সাহসী ও প্রাজ্ঞ আলেমেদ্বীন ছিলেন। বাল্যকাল থেকেই ইসলামের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। হক কথা বলায় কারো রক্ত চক্ষুকে তোয়াক্কা করতেন না। এজন্য তাকে বার বার কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। নির্বাচিত হয়েছেন অনেক আগেই।জন্মভূমি মিশর হওয়া সত্ত্বেও জালিমের অত্যাচারে তাকে পাড়ি জমাতে হয় কাতারে। মৃত্যু অবধি এখানেই ছিলেন।

মধ্যপাচ্যসহ সারা বিশ্বের ইসলামী জাগরণে তার ভূমিকা অনন্য। ইসলামের স্বচ্ছতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে তার লেখনি শক্তি ছিল অসামান্য। ইসলামী আন্দোলন, মানব জীবন, সামাজিক বিধান, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, দর্শন সহ নানা দিক ও বিভাগ নিয়ে অসংখ্য কালোত্তীর্ণ গ্রন্থ ও রচনা তিনি লিখে গেছেন। যা বিশ্বব্যাপী তার পরিচিতিকে আরো বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে।

তার ব্যাপারে ব্যাপক জানাশোনা ও পরিচয় ঘটে তার লেখা বিখ্যাত গ্রন্থ "ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল-হারাম" অধ্যয়নের মধ্য দিয়ে। আমাদের ইফতার দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে তা "দরসে" ছিল। তখন এই বইটি পড়ার সুযোগ হয়।

তার কিছু কিছু একক মত ছাড়া ইসলামের স্বচ্ছ রূপকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে তার অবদান ভুলে যাওয়ার মত নয়। মুসলিম জাতির মাঝে তার কর্ম ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

দুআ করি, মহান আল্লাহ তাআলা তাকে তার প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন। এবং তার ইন্তিকালে মুসলিম উম্মাহকে ধৈর্যধারণ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ