বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১২ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফের শাহবাগ অবরোধ আলোকিত সাইকেল পথ: পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে পোল্যান্ডের অনন্য উদ্যোগ ডাকসুতে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি প্রেশার কখন মাপা উত্তম: স্বাস্থ্য সচেতনতায় সঠিক সময়ের গুরুত্ব ‘তরুণদের মধ্যে প্রবীণদের উপেক্ষার প্রবণতাটা খারাপ’  নওমুসলিমের হৃদয়ছোঁয়া গল্প : আলোকের পথে আত্মিক যাত্রা (প্রথম পর্ব) মরচে পড়া লোহা ও টিটেনাস: আতঙ্কের কারণ কী? আবদুল্লাহপুর-টঙ্গী সড়কে বেইলি ব্রিজ  স্থাপন ও দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন নজরুলের ইসলামি চেতনার পাঁচটি কবিতা জেদ্দায় খেলাফত মজলিস আমিরের সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল

শিশুদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আমাদের শিশুদের সত্যিকারের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য আমরা আগামী বছর থেকে একটি নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রম চালু করছি।

সোমবার (নিউইয়র্ক স্থানীয় সময়) জাতিসংঘ মহাসচিবের ট্রান্সফর্মিং এডুকেশন সামিটে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও রেকর্ডিংয়ে জাতীয় বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন পাঠ্যক্রম আমাদের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করবে। এ প্রয়াস তাদের জলবায়ু সহনশীল হওয়ার বিষয়ে সচেতন করবে এবং দেশকে একটি উন্নত, জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিণত করতে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাদের সত্যিকারের এজেন্ট হিসেবে গড়ে তুলবে।

শেখ হাসিনা বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা গবেষণা ও উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষার জন্য, আমাদের লক্ষ্য হলো আরও ভালো সংযোগ শিল্প স্থাপন করা। আমাদের সন্তানদের এমন দক্ষতা থাকা উচিত যা তারা বিশ্বের যে কোনো স্থানে ব্যবহার করতে পারে।

তিনি বলেন, যোগ্যতার পারস্পরিক স্বীকৃতির জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা বুনিয়াদী এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বহু ভাষিক শিক্ষার প্রসারের জন্য দেশে আমাদের কিছু নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা রাখাইন প্রদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া এবং আমাদের ভূখণ্ডে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ শিশুকে মিয়ানমারের পাঠ্যসূচিতে শিক্ষা দিচ্ছি। মানসম্পন্ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার জন্য সরকারকে শিক্ষকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং প্রণোদনার জন্য বিনিয়োগ করতে হয়েছে। আমরা আমাদের জিডিপির অনুপাতে শিক্ষার জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের এসডিজি-৪ অর্জনের জন্য তাদের আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। বিশ্বব্যাপী অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ব্যয় করা সম্পদকে শিক্ষার জন্য একটি সুষ্ঠু অংশীদারিত্বের জন্য প্রদান করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করেছি। প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি এবং বৃত্তি পাচ্ছে। সরকার কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন পরিবারগুলোকে মোবাইল গেটওয়ের মাধ্যমে নগদ প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত রাখবে। উপবৃত্তি, দুপুরের খাবার এবং বিনামূল্যে পাঠ্য বই বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমাদের সফল কর্মসূচিগুলো অব্যাহত রাখা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আগামী বছরের মধ্যে প্রায় ৫৯,৭৮০টি মাল্টি-মিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করব। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিজিটাল বিভাজন কমানোর দিকে মনোনিবেশ করব। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাতে সমতা অর্জনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করেছে।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ