শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৫


চোখ ওঠা সমস্যায় যা করবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে চোখ ওঠা রোগের সমস্যা বেড়ে চলছে। প্রায় প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হয়। তবে স্থানীয়ভাবে এ সমস্যাকে চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ: চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। চোখ চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে আরও অস্বস্তি হয়।

আক্রান্তরা যা করবেন না:

* চোখ চুলকানো থেকে বিরত থাকুন।

* রোগীর ব্যবহার করা সামগ্রী অন্যদের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

*এক চোখে সমস্যা দেখা দিলে অন্য চোখকে সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতে হবে।

*আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে।

*আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, কাপড়-চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না।

* হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই হ্যান্ডশেক করার পর দ্রুত হাত ধুয়ে ফেলুন। নোংরা হাতে কখনই চোখে হাত দেবেন না।

এই রোগ হলে যা করবেন:

* সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

* চোখে সাবধানে টিস্যু বা নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। ব্যবহার করা সেই টিস্যু বা কাপড় সাবধানে নিরাপদ স্থানে ফেলতে হবে। যাতে করে এ রোগ অন্য কারো না হয়।

* আক্রান্ত ব্যক্তি বাইরে গেলে সানগ্লাস পরতে হবে, তা নাহলে রোদে চোখ জ্বলবে।

*চোখে চুলকানি ও বেশি ফুলে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

চোখ ওঠা রোগ হলে, আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। ভাইরাসজনিত এ রোগ যার হবে, তিনি যেন অন্যের সংস্পর্শে না আসেন। রোগীর ব্যবহার করা তোয়ালে, বিছানা, বালিশ যেন অন্য কেউ যেন ব্যবহার না করে। ভাইরাস জ্বর যেমন ৫/৭ দিনে ভালো হয়ে যায়, এটাও তেমন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চোখ ওঠা নিশ্চিত হয়ে এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর