শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫ ।। ৭ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৮ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
সীমান্তে ৫ বাংলাদেশি নারীকে ফেরত দিল বিএসএফ কেন্দুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রার্থীর আলোচনা সভা আগে সংবিধান সংশোধন, তারপর জাতীয় নির্বাচন: আখতার পাঠ্যবইয়ে গণহত্যাকারীদের তালিকায় থাকবে শেখ হাসিনার নাম: আসিফ মাহমুদ নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার হতে হবে: শায়খে চরমোনাই রাজনীতি দিয়ে রাজনীতি মোকাবিলা করুন: তারেক রহমান মহানবী (সা.)-এর সিরাতই তরুণদের চরিত্র গঠনের রোল মডেল : ধর্ম উপদেষ্টা ইনসাফ ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পরবর্তী সরকারের কোনো পদে থাকছি না: প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় কেবল মুসলিমদের নাম: পাকিস্তান

মতানৈক্য না বাড়িয়ে আসুন সমাধান বের করি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আদিয়াত হাসান: সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে ‘গণতন্ত্র ও ভোট পদ্ধতি: ইসলামের দৃষ্টিকোণ’ বিষয়টি। আরো আলোচনায় এসেছে ‘প্রচলিত রাজনীতির ভোট পদ্ধতিকে জিহাদ বলা যাবে কি না?’ এ বিষয়ে কয়েক দিন ধরে ইসলামিক স্কলার ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর একটি ভিডিও অনেকের টাইমলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে শুরু হয় বিতর্ক। চলমান এই ইস্যুতে গবেষক আলেম শায়খ উবায়দুর রহমান খান নদভী’র একটি লেখা আওয়ার ইসলাম পাঠকের জন্য তুলে ধরছি।

তিনি লিখেন-

إذا قل العمل كثر الجدل،
গণতন্ত্র *নির্বাচন *রাজনীতি *জিহাদ *খেলাফত: মতানৈক্য না বাড়িয়ে আসুন সমাধান বের করি!

আধুনিক যুগের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ইসলামী অঙ্গনেও দ্বিধা সংশয় ও চিন্তার বিভ্রাট সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
আধুনিক নীতি পদ্ধতি ও মতাদর্শের দীনি ব্যাখা বিশ্লেষণে কেউ কেউ বাড়াবাড়ির আশ্রয় নিচ্ছেন। উম্মাহর সঠিক পথনির্দেশ বাদ দিয়ে শুরু হয়েছে পারস্পরিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি।

কাফির মুশরিক বিদআতি বলার পাশাপাশি কথায় কথায় বাহাস বিতর্ক আহবান এখন লোক হাসানোর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল কাজে জীবনের মূল্যবান সময় লাগানো ছেড়ে দিলেই পরস্পর ঝগড়ার সময় পাওয়া যায়। অস্তিত্ব বিনাশী শত্রুর আক্রমণ না হলে আপনজনেরাও ঐক্যবদ্ধ হয় না। হয়তো সেদিনটিও বেশী দূরেও নয়।

আসুন, ইসলামী কর্মপদ্ধতির মৌলিক বিষয়ে ভিন্নমত পোষণকারী প্রকৃত শিক্ষিত প্রতিনিধিত্বশীল কয়েকজন ফকীহ আলেম এজেণ্ডা ভিত্তিক ম্যারাথন ইলমি মুজাকারা তথা সিম্পোজিয়ামে বসা যাক। অধ্যয়ন ও গবেষণার ফলাফল পুস্তক আকারে প্রকাশ করা হবে। গ্রহণযোগ্য হলে ইজতিহাদি মতানৈক্যগুলোও স্বীকৃত বলে নিজ নিজ স্থানে বহাল থাকবে, তবে মাঠপর্যায়ে বিরূপ সমালোচনা করা যাবে না।

বিতর্কে যুক্ত পক্ষগুলোর কেউ এই সমাধান প্রয়াসী অনুষ্ঠানের আয়োজন করুক। পরস্পরের শুভার্থী হিসাবে কল্যাণ ও সৌজন্যমূলক গবেষণা প্রোগ্রামটিতে দেশের বড় তিনজন ইলমি ব্যক্তি সমন্বয়কারী পর্যায়ের বিচারকের ভূমিকায় থাকবেন। অন্য কেউ এগিয়ে না এলে, আপাতত দশজনের বেশী নয়, মোটামুটি তিনদিনের সম্ভাব্য সেশন বিশিষ্ট মুলতাকার স্থান, আপ্যায়ন ও ন্যূনতম রাহাখরচ বহনের চেষ্টা আমরা করবো।

ফেইসবুক ও মিডিয়ায় বড় বড় কথা নয়, আসুন, জাতিকে সত্যিকার অর্থে ইসলাম অনুসরণের গ্রহণযোগ্য পথ প্রদর্শন করি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে শরীয়া বিশেষজ্ঞদের এমন ইলমি মুবাহাসা চলমান থাকলে উম্মাহর জন্যই মঙ্গল। প্রকৃত গবেষণায় মুসলিম জনসাধারণ, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ বন্ধ হোক। তরুণ আলেমদের দ্বিধান্বিত হওয়ার পথও রুদ্ধ হোক।

এজেণ্ডা ও নানা মতের যোগ্য ১০ জন প্রতিনিধি সিলেক্ট বিষয়ে আপনি সুচিন্তিত প্রস্তাব করতে পারবেন, এমন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিরা প্রস্তাব করতে পারেন।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ