শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ ।। ৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৫ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
খেলাফত মজলিসের রংপুর বিভাগীয় তরবিয়তি সভা উত্তরসূরিদের নাম ঘোষণা করলেন খামেনি ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইরানের ড্রোন হামলা, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে বিস্ময় সৃষ্টি আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় ইসলামি শক্তির ঐক্য অপরিহার্য: ইবনে শাইখুল হাদিস পৃথিবীর শান্তি ও মানবতা ধ্বংস করছে ইসরায়েল, পতন অনিবার্য: হেফাজত  যে মাওলানার কাছে ভরাডুবি হয়েছিল সেই ফজলুর রহমানের হল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঢামেক শিক্ষার্থীদের, আন্দোলন চলবে নেত্রকোনায় জমিয়তের মজলিসে আমেলা অনুষ্ঠিত কওমিপড়ুয়া বিপুল জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগান, সন্দেহাতীত ভালো ফলাফল আসবে

কবে হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| কাউসার লাবীব ||

প্রায় শতবর্ষ আগে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে হযরতজি মাওলানা ইলিয়াস রাহিমাহুল্লাহ’র হাত ধরে প্রচলিত দাওয়াত তাবলিগের সঙ্গে পরিচয় মুসলমানদের। সময়ের ব্যবধানে মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জনপ্রিয়তা পায় তাবলিগ। বাড়তে থাকে তাবলিগের সাথী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সংখ্যা। তাবলিগের ছোট ছোট জমায়েতগুলো রূপ নেয় ইজতেমায়। সেখান থেকে বিশ্ব ইজতেমা। ভাগ্যক্রমে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক দেশ নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ।

টঙ্গির তুরাগ নদীর পাড়ে বিশ্বের প্রায় ১০২টি দেশের নাগরিকদের নিয়ে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ৫৫টি বিশ্ব ইজতেমা। ৫৬তম ইজতেমা আটকে যায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে। সময়ের ব্যবধানে সবকিছুই স্বাভাবিক হয়। তবে এখনো স্বাভাবিক হয়নি বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে বাংলাদেশের তাবলিগের মুরব্বিদের তৎপরতা ও উদ্যোগ।

মাওলানা সা’দ কান্ধলভির বেশকিছু বক্তব্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী তাবলিগের মুরব্বিদের মাঝে মতের অমিল তৈরি হয়। দৃশ্যমান হয় তাবলিগের দুটি ভিন্নগ্রুপ। দু’গ্রুপ নিজেদের মতো করে উদ্যোগ গ্রহণ করে ৫৫তম ইজতেমাও আয়োজন করে। দু’পর্বের ইজতেমায় আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের মতো করে কার্যক্রম পরিচালনা করে উভয়পক্ষ। ধারণা করা হচ্ছিল, দু’পক্ষ সমাধানে আসার আগ পর্যন্ত এভাবেই হয়তো পরবর্তী ইজতেমাগুলো আয়োজিত হবে। উদ্যোগী হবে সবাই। কিন্তু ৫৬তম ইজতেমা নিয়ে কোনো পক্ষেরই তেমন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাবলিগের উভয় পক্ষের সঙ্গেই ইতোমধ্যেই সরকারের একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এসব বৈঠকে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা একপর্বে হবে, দুপর্বে হবে নাকি হবেই না।

অপরদিকে আওয়ার ইসলামের পরিচয়ে দু’পক্ষের সঙ্গেই বারবার যোগাযোগ করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, এ বছর ইজতেমা হবে কি? প্রস্তুতি কতটুকু? কবে নাগাদ হতে পারে কোটি মানুষের প্রত্যাশীত এই অনিন্দ্য আয়োজন? কোনো পক্ষই সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে নারাজ। জানান, ‘মুরব্বিদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কথা না বলার বিষয়ে নির্দেশ আছে।’

করোনার কারণে বন্ধ হওয়া বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন আবার কবে আলোর মুখ দেখবে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারছে না কেউ। জানা যাচ্ছে না, কোটি মানুষের হেদায়েতের অন্যতম এ আয়োজন কবে নাগাদ আবার আলোড়িত হবে। ধারণা করা যাচ্ছে না, তুরাগ পাড় কোন সকালে মুখরিত হবে রবের জিকিরে। তাবুর নিয়ন আলোয় রাত জাগা মুসল্লিদের তাহাজ্জুদের দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় বাংলাদেশের দিকে চেয়ে আছে পুরো মুসলিম বিশ্ব।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ