মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৫ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা আলোচনা-সমালোচনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| কাউসার লাবীব ||

ইসলামিক স্কলার ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর একটি ভিডিও অনেকের টাইমলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তিনি বলছেন,  আমি অবাক হয়েছি মুসলমান! এদেশে কিছু লোক ফতোয়া দিসে ‘গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হচ্ছে শ্রেষ্ঠ জিহাদ।’ হারামকে শ্রেষ্ঠ জিহাদ বললে ইমান আর থাকে কই! শুধু বেইমান না, তাগুতের খাতায় নাম উঠবে।

তার জানান, এইভাবে ভন্ড পীরেরা বাংলাদেশের মানুষকে পাশ্চাত্যের দালাল বানায়া গণতন্ত্রের গোলামী করাতে চায়। বাংলার মাটিতে তা হতে দেয়া হবে না।

তার মতে, এদের মূল টার্গেট কওমি মাদরাসা। ইহুদিরা বহু চেষ্টা করেছে বাংলাদেশকে মাদরাসামুক্ত করবে। তা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় নাই। বরং তারা দেখেছে বাংলাদেশে একেকটি মাদরাসা ইসলামের পক্ষে একেকটি ক্যান্টনম্যান হয়ে গেছে। সে জন্য মাদরাসার ভিতরে তারা কিছু মোনাফেক সৃষ্টি করতে চায়; যারা খেলাফতে ইসলামকে বিশ্বাস করবে না। ইমারতে ইসলামকে বিশ্বাস করবে না। খেলাফতের বিরোধিতা করে গণতন্ত্রের পক্ষে দালালী করবে।

আরো পড়ুন: গণতন্ত্র নিয়ে ড. আব্বাসীর বক্তব্য, মুফতি ফয়জুল করীমের তীব্র প্রতিক্রিয়া

বক্তব্যটি ছড়িয়ে পড়ার পর এর পক্ষে বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।

অনেকে বলছেন, গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের অনেক আকাবির নির্বাচিত হয়ে সংসদে গিয়েছেন। তাদের ব্যাপারে কি একই কথা হবে?

আবার অনেকে বলছেন, আমাদের আকাবিরদের কেউ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা একে হারাম বলতেন। বাধ্য হয়ে অংশ নিয়েছিলেন তারা।

এর বিপরীতে কেউ কেউ বলছেন, আকাবির মধ্যে অনেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাকে জিহাদ সাব্যস্ত করেছেন। তাহলে তাদের ব্যাপারে কী বলবেন?

এর বিপীতে আবার কেউ কেউ বলছেন, পূর্ববর্তী কেউ কোনো ভুল করলে তা সহিহ হয়ে যায় না।

এভাবেই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এই বিতর্কে একজন আলেম আরেকজন আলেমকে কাফের, মুশরিক বা ইহুদিদের দালাল বলেও তৃপ্ত হচ্ছেন না। নতুন নতুন শব্দ আবিস্কারে ব্যস্ত অনেকে। অনেকে আবার অন্যদের ব্যক্তিগত ইস্যুও নিয়ে আসছে এখানে।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। সামনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা সমস্যা। কাদিয়ানি, আহলে কোরআন, হিজবুত তাওহিদসহ নানা বাতিল ফেরকা আমাদের সামনে। তারা মুখিয়ে আছে আমাদের নিজেদের ঝগড়া দেখে হাত তালি দেয়ার জন্য। সময়ের এই ক্রান্তিলগ্নে নিজেদের মাঝে তৈরি হওয়া এই বিতর্ক কখন, কীভাবে, কোথায় গিয়ে শেষ হয় তা সময়ই বলে দেবে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ