শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৫


শিশুদের নিউমোনিয়ার কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রতিবছর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বহু শিশু মারা যায়। নিউমোনিয়া শিশুদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিবেচিত। বিশ্বের মৃত্যুর অষ্টম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত এই রোগ।আসুন আমরা জেনে নেই নিউমোনিয়ায় রোগ ছোট শিশুদের প্রভাবিত করে।

নিউমোনিয়া কী ?
নিউমোনিয়া মূলত আমাদের ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে হয়। যখন আমাদের ফুসফুসে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ হয়, যা আমাদের শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে, তখন একে বলা হয় নিউমোনিয়া। এটি ফুসফুসের এক বা উভয় অংশকে প্রভাবিত করতে পারে।

নিউমোনিয়ার ভাইরাস ফুসফুসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং বায়ুথলিতে এসে থেকে যায়। এর ফলে, বায়ুথলিগুলিতে শ্লেষ্মা, পুঁজ ও অন্যান্য তরলে ভরে যায়, যার কারণে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে ওঠে।

সাধারণ উপসর্গ হল কাশি, যা ফুসফুস থেকে গাঢ় শ্লেষ্মার সঙ্গে হয়, যা সবুজ, বাদামি বা রক্তের ছিটেযুক্ত হতে পারে। মানুষের ঠান্ডা বা ফ্লু এবং প্রায়ই শীতকালের পরে নিউমোনিয়ার বিকাশ হয়।

শিশুদের নিউমোনিয়া হওয়ার কারণ:
নিউমোনিয়া বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট হতে পারে, যেমন, ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া, ছত্রাক এবং পরজীবী - বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া অ্যাডেনোভাইরাস, রাইনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, শ্বাসযন্ত্রের সিনসিটিয়াল ভাইরাস এবং প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে হয়।

শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ার লক্ষণ
ক) জ্বর

খ) শক্তির অভাব

গ) দ্রুতগতিতে অগভীর শ্বাস। শ্বাসের সাথে জোরে জোরে শব্দ

ঘ) খাওয়ানোতে অসুবিধা হওয়া

ঙ) ক্লান্তি বা ঝিমুনি ভাব

শিশুদের নিউমোনিয়ার চিকিৎসা: শিশুদের নিউমোনিয়ার চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তারের সাজেশন অনুসারে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে।

শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ:

ক) বাচ্চার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে স্তন্যপান করান

খ) ঘরের পরিবেশ গরম এবং ভাল বায়ু চলাচল যাতে করে সে ব্যবস্থা করুন

গ) সর্দি, ফ্লু বা অন্যান্য সংক্রমণ রয়েছে এমন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ এড়ান

ঘ) সময় মতো টিকা দিন

শিশুদের ব্যাকটিরিয়াজনিত নিউমোনিয়া হয় এবং চিকিৎসক বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক নির্ধারণ করেন। যা ওষুধগুলি সময়মতো দিন, যা আপনার শিশুকে দ্রুত সুস্থ হতে এবং সংক্রমণ ছড়ানো রোধ করতে সহায়তা করবে। শিশুর তাপমাত্রা প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যেয় কমপক্ষে একবার দেখে নিন। যদি তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি হয় তবে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর