মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৫ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

৬ মাসে কোরআন হিফজ করলো এক মাদরাসার তিন ছাত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| কাউসার লাবীব ||

অল্প কয়েক মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময়সৃষ্টি করেছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের দারুল উলুম আমিনা মহিলা মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফিজা জান্নাতুন্নুর নিলা, হাফিজা সামিয়া বুশরা ও হাফিজা মারিয়া ইসলাম।

জানা যায়, নয় বছর বয়সী হাফিজা নিলা ৬ মাসে, দশ বছর বয়সী হাফিজা বুশরা সাড়ে ৬ মাসে এবং তের বছর বয়সী মারিয়া ৭ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে। এছাড়া হাফিজা সামিয়া বুশরা হিফজের শেষ দিন  এক পারা সবক প্রদান করে।

হোসেনপুরের দারুল উলুম আমিনা মহিলা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মাহমুদ হাসান আওয়ার ইসলামকে জানান, হাফিজা জান্নাতুন্নুর নিলা কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়ার সৌদি প্রবাসী সিদ্দীক আহমদের মেয়ে। হাফিজা সামিয়া বুশরা হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুরের সৌদি প্রবাসী আব্দুল্লাহর মেয়ে। হাফিজা মারিয়া একই উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের হাফেজ নূরুল ইসলামের মেয়ে। দুই ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে মারিয়া সবচেয়ে ছোট।তার বড় ভাই স্কলারশিপ নিয়ে মিশরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। তার আরেক বড় ভাইও হাফেজ ৷

এছাড়া,দারুল উলুম আমিনা মহিলা মাদরাসার আরোকিছু শিক্ষার্থী স্বল্প সময়ে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেছেন। এদের মধ্যে হাফিজা নুদরা কারীমা ১৪ মাসে, হাফিজা মারিয়াম সুমাইয়া ১৫ মাসে এবং হাফিজা সাকিবা আমাতুন্নুর আড়াই বছরে হিফজ শেষ করে।

এদিকে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের এ অনন্য অর্জনে অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে মুফতি মাহমুদ হাসান বলেন, আমরা গত ২০১৯ সালে হিফজ বিভাগ চালু করি। কিন্তু করোনার কারণে বিভাগটি চালাতে বিঘ্ন ঘটে। না হয় আরো বেশকিছু শিক্ষার্থী হিফজ সম্পন্ন করতে পারতো। ইতোমধ্যেই যারা পবিত্র কোরআন মুখস্ত করেছে আমি তাদের সার্বিক সফলতা কামনা করছি। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন। যারা হাফিজা হয়েছে তাদের মধ্যে নুদরা কারীমা আমার মেয়ে। তার জন্য দেশবাসীর কাছে বিশেষভাবে দোয়া চাই।

অপরদিকে হাফিজা মারিয়া ইসলামের পিতা হাফেজ নূরুল ইসলাম বলেন, ছেলে মেয়েদের দ্বীনের পথে আনার চেষ্টা করেছি। সে লক্ষ্যেই তাকে হিফজে ভর্তি করেছি৷ তবে এত তাড়াতাড়ি সে পুরো কোরআন মুখস্ত করে ফেলবে তা কখনো ভাবি নি। এটা আল্লাহর কুদরত।এদিকে, হাফেজা মারিয়া আক্তারের ইচ্ছে কোরআন ও হাদিসের খেদমত করার পাশাপাশি দেশ ও জাতির খেদমতে নিজেকে উৎসর্গ করা।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ