বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

প্রবীণ মুহাদ্দিস মাওলানা ফরিদ আহমাদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: গওহরডাঙ্গা মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা ফরিদ আহমাদ (রূপসার হুজুর) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রজিউন। ১৭ আগস্ট রাত ৮টায় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় জানাজা শেষে গওহরডাঙ্গা মাদরাসা-মসজিদ সংলগ্ন মাকবারায়ে শামছিয়ায় তাকে দাফন করা হয়।

গওহরডাঙ্গা মাদরাসা প্রাঙ্গণে বিপুল মানুষের উপস্থিতিতে নামাজে জানাজার ইমামতি করেন গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ২ মেয়ে, অসংখ্য ছাত্র, আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মাওলানা ফরিদ আহমাদ ১৯৬০ সালে তেরখাদা থানার ইসামতি গ্রামের একটি সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে এসএসসি পাশ করেন। স্কুলে পড়াকালীন সময় তিনি মোজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী ছদর ছাহেব রহ. এর জীবনী পড়ে মাদরাসায় পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ হন। মাদরাসার প্রাথমিক শিক্ষা গোপালগঞ্জের ছোটফা মাদরাসায় শেষ করে গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় ভর্তি হন। গওহরডাঙ্গা মাদরাসা থেকে ১৯৮৩ সালে দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসায় গমন করেন এবং ১৯৮৬ সালে কৃতিত্বের সাথে দেওবন্দ মাদরাসা থেকে দাওরায় হাদিস সমাপ্ত করে মাওলানা সনদ লাভ করেন।

১৯৮৮ সালে তিনি গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় শিক্ষকতাকালীন সময় হাদিসের সর্বোচ্চ কিতাব বোখারী শরিফ, মুসলিম শরিফ সহ কওমি মাদরাসার সব গুরুত্বপূর্ণ কিতাবের দরস প্রদান করেন।

মাদরাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের গওহরডাঙ্গা বিভাগীয় জিম্মাদার দায়িত্ব পারন করেন। তিনি ছদর ছাহেব রহ. এর কর্মসূচি এবং তার লিখিত কিতাব দেশ ব্যাপি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অক্লান্ত মেহনত করতেন।

তার মৃত্যুতে খাদেমুল ইসলাম বাংলদেশের আমির ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম পীরে কামেল আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন গভীর শোক প্রকাশ করে তার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তিনি বলেন, মাওলানা ফরিদ আহমাদ ইসলামের প্রচার-প্রসারে একজন নিবেদিত মানুষ ছিলেন। হাদিসের দরসে তাঁর তাকরির সবাই কে মুগ্ধ করত। তিনি সব সময় মাদরাসার উন্নতি-অগ্রগতি এবং ছাত্রদের যোগ্য করে গড়ার জন্য চেষ্টা করতেন। মুফতি রুহুল আমিন বলেন, তাঁর মৃত্যুতে আমি একজন বিশ্বস্ত কর্মী ও সহযোদ্ধা হারালাম। তাঁর শূণ্যতা পূরণ হওয়ার নয়। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করেন।

তাঁর মৃত্যুতে আরো শোক প্রকাশ করছেন গওহরডাঙ্গা মাদরাসার শায়খুল হাদীস মুফতি আব্দুর রউফ (ঢাকার হুজুর), ছদর ছাহেব রহ. এর পৌত্র মুফতি উসামা আমীন, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা ঝিনাত আলী, গওহরডাঙ্গা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, গওহরডাঙ্গা মাদরাসার নাজেমে তালীমাত মুফতি নুরুল ইসলাম, সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুস সালাম, খাদেমুল ইসলাম ছাত্র শাখার সাবেক সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম, তানজিমুল মুদাররিসিন বাংলাদেশের মাওলানা আতাউর রহমান, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগীয় জিম্মাদার মাওলানা মানসুরূল হক, ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা আজিজুর রহমানসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ