শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৫


তেজপাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পোলাও, ডাল, মাছ, মাংস, পায়েস, যেকোনও রান্নায় তেজপাতার ব্যবহার অনন্য স্বাদ এনে দেয়। তেজপাতা কেবল মাত্র তার সুগন্ধের জন্যই পরিচিত নয়, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ ও সি, ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য খনিজের উৎস। তেজপাতায় অসংখ্য ঔষধি গুণও আছে।

জেনে নিন তেজপাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে:

১) হজম ক্ষমতা: বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, প্রচুর ঘি-মাখন এবং মশলা আছে এমন খাবারে তেজপাতা ব্যবহার করলে, সহজে খাবার হজম হয়। তাছাড়া তেজ পাতা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমের উপরে শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তাছাড়া তেজ পাতা প্রস্রাব এবং বমির মাধ্যমে, শরীরের বিষাক্ত টক্সিনগুলি অপসারণ করতেও সহায়তা করে।

২) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত যে, তেজ পাতার নিয়মিত সেবন টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে। তাছাড়া এই চমৎকারী পাতাগুলি, টেম্পারিংয়ের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। যা গ্লুকোজ বিপাকের ক্ষেত্রে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই খাবারের তেজপাতার ব্যবহার ডায়াবেটিস রোগীদের উপকারী।

৩) ফাংগাল ইনফেকশন: গবেষকদের মতে, তেজ পাতায় অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান। যা ত্বককে, যেকোনো ধরনের সংক্রমণ বা অস্বস্তির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। তেজ পাতার নিয়মিত সেবন, একটি প্রতিরক্ষামূলক অদৃশ্য স্তর তৈরি করে, যা বাতাসে ভ্রাম্যমান ব্যাকটেরিয়া গুলিকে, দূরে রাখতে সহায়তা করে।

৪) শ্বাসযন্ত্রের চিকিৎসায়: তেজ পাতা নিজেই এসেনশিয়াল অয়েলের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। এই পাতা থেকে নিষ্কাশিত এসেন্সিয়াল অয়েল, শ্বাস যন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যার উপশম করতে, অত্যন্ত কার্যকর রূপে প্রমাণিত।

৫) প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ: তেজ পাতা প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতে দারুণ কার্যকর। তেজ পাতায় সেসকুইটারপেন নামক ল্যাকটোন বর্তমান। এটি নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদনকে বাধা দেয় এবং এর থেকে হওয়া প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়তা করে।

৬) উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ: তেজপাতায় 'লিনালুল' নামক এক ধরনের যৌগ বর্তমান। এটি শরীরের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীর এবং মনকে শান্ত করতে সহায়তা করে।

৭) ক্যান্সার প্রতিরোধী: তেজপাতা হল এক ধরনের চমৎকারী উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবেও কাজ করে। নিউট্রিশন রিসার্চ জার্নাল এর মতানুসারে, তেজপাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জৈব যৌগগুলি, ক্যান্সার- সৃষ্টিকারী ফ্রি রেডিকেলের খারাপ প্রভাব থেকে, শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

৮) হার্ট ভাল রাখে: তেজপাতায় উপস্থিত যৌগগুলি, হৃৎপিণ্ডের ক্যাপিলারি ওয়াল (capillary walls of the heart) কে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। তাছাড়া তেজপাতা ক্যাফেইক অ্যাসিডের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। এটি শরীর থেকে LDL বা খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সহায়তা করে। যার ফলে শরীরে, কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ