শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

‘সুলতান সোলাইমানের সমাধি পাশে, বিমুগ্ধ হওয়া আলোকিত ইতিহাসে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।। গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী ।।

ইস্তাম্বুলের সময়গুলো দ্রুত চলে যাচ্ছে। চোখের পলকে যেন ১৪ দিন চলে গেল। কিছুই দেখা হলো না। মাস খানেকের জন্য সময় করতে পারলে মনে হয় কিছু দেখা যেতো। ভালো করে এই প্রাচীনতম শহরটা হয়তো ঘুরা যেতো। যাইহোক, যা পেয়েছি, যা দেখেছি, এতেই আলহামদুলিল্লাহ। ভালোবাসার শহরে বারবার আসতে চাই। ইন শা আল্লাহ।

আজকের সিডিউলে প্রথমেই যাওয়া হলো, ইস্তাম্বুলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা সোলাইমানীয়া মসজিদ। কেউ কেউ এটিকে সু্লতান সোলাইমান মসজিদও বলে থাকেন। বসফরাসের তীরে গাড়ি থেকে নেমে বেশ উচুতে এই মসজিদ। হাটতে হাটতে বেশ কাহিল অবস্থা। আগেই একবন্ধু সতর্ক করেছেন, ইস্তাম্বুলে কিন্তু হাটতে হবে। কেডস জুতা পরে নিয়েন। তার কথা পাত্তা দেই নি। এখন মনে হচ্ছে, কথাটা সঠিক ছিলো। যাইহোক, স্বপ্নের শহরে চলাচলে ক্লান্তি বা কষ্ট কোন বিষয় নয়। বিসমিল্লাহ..

সুলতান সোলাইমান। বিখ্যাত নাম। মিডিয়ার কারনে বাংলাদেশেও পরিচিত এক চরিত্র। সুলতান সোলাইমানের পিতা হলেন সুলতান প্রথম সেলিম। ইতিহাস বলে, পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সুলতান সোলাইমান তার এক ছেলের নাম রেখেছিলেন মোহাম্মদ সেলিম। যাকে বলা হয় ২য় সেলিম।

ইতিহাস বিখ্যাত এই সুলতান সোলাইমান ছিলেন উসমানী সালতানাতের ১০ম সুলতান। তিনি কানুনি সোলাইমান বলেও পরিচিত ছিলেন।ইতিহাসে যেমনটি পাওয়া যায়, তিনি ছিলেন উসমানী সালতানাতের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সুলতান। ১৫২০ সাল থেকে ১৫৬৬ সাল পর্যন্ত। প্রায় ৪০ বছর ছিলো তার শাসনামল।সুলতানের ছিলো অনন্য প্রভাব ও প্রতিপত্তি।যার কারনে ইতিহাস তাকে অভিষিক্ত করেছে বিশেষ মর্যাদা ও সম্মানের রাজপুরুষ হিসেবে।

সুলতানিয়া মসজিদটি হলো ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক একটি নিদর্শন। ঐতিহ্যের স্থাপনা। সুলতান সোলাইমান কতৃক নির্মিত বলেই এটিকে সোলাইমানীয়া মসজিদ বলে অভিহিত করা হয়। তবে যতদূর জানা যায়, এ মসজিদ নির্মাণের কাজ তিনি শেষ করতে যেতে পারেন নি।
বসফরাসের তীর ঘেঁষা ইউরোপীয় অংশে সুলতানিয়া মসজিদটি অবস্থিত। এই মসজিদের বিশেষ একটি তাৎপর্য হলো, এটি উসমানীয়া সালতানাতের সম্মান ও মর্জাদার প্রতিক। ইতিহাস বলে, এ মসজিদের সুউচ্চ ৪টি মিনার ও বিশালাকার গম্বুজসমুহ আজও পর্যন্ত উসমানী সালতানাতের ঐতিহ্যের স্বারক হয়ে আছে।

মসজিদের পাশে রয়েছে সুলতান সুলায়মানের কবর। কবরের চারপাশ সবুজে ঘেরা। এর মাঝে বিশালকার গম্বুজের নিচে সুলতান সোলাইমানের সমাধি। তার পাশে তার সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও কবর রয়েছে। আরেক পাশে একি রকম একটি গম্বুজের নিচে সুলতান সোলাইমানের বিখ্যাত স্ত্রী হুররাম এর সমাধি।

সুলতান সোলাইমান ইতিহাস আলোচিত সেই সুলতান, যার হাতে রুমান সাম্রাজ্যের পতন হয়েছিলো। উসমানী সালতানাতের সুবিখ্যাত এই মহান মানুষটিকে পৃথিবী আজও স্বরণ করে। তাই তার সমাধি দেখতে প্রতিদিন ভির করে নানা দেশের, নানা ভাষার, নানা বর্ণের অসংখ্য মানুষ। সুলতান সোলাইমান আপনাকে সালাম।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ