মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ ।। ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৬ জিলকদ ১৪৪৫


গণকমিশনের তালিকার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন ওলামায়ে কেরাম!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।কাউসার লাবীব।।

জঙ্গি অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে ১১৬ ওয়ায়েজিনের একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ‘গণকমিশন’।

এ তালিকা থেকে বাদ পড়েননি বর্ষীয়ান আলেমেদ্বীন আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বুখারী, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর মতো দেশের শীর্ষ আলেমরাও। তালিকায় আছেন বেশ কয়েকজন কারাবন্দিরা আলেম। দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে তারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ঠ করছেন।

গণকমিশনের এ তালিকা নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ইতোমধ্যেই দেশের ধর্মপ্রিয় মানুষের মাঝে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। গণকমিশনের এ তালিকা বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলাম দেশের বিভিন্ন ঘরণার কয়েকজন আলেমের কাছে। আওয়ার ইসলাম পাঠকের জন্য তাদের মতামতগুলো তুলে ধরা হচ্ছে।

গণকমিশন কর্তৃক প্রদত্ত ১১৬ আলেমের তালিকা বিষয়ে হেফাজত আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, এই ভুঁইফোঁড় সংগঠনটি বরাবরের মতোই নিজেদের ইসলাম বিদ্বেষী চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত করেছে। তাদের এই শ্বেতপত্র যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং মিথ্যা তথ্যে ভরপুর, এটি সমগ্র দেশবাসীর সামনে দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার।

‘এসব বানোয়াট বক্তব্যের কারণে দেশে চরম অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। অতএব যারা এসব উস্কানীমূলক কর্মকাণ্ড করছে, সরকার যেন তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করে।’- গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

বিষয়টি নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আওয়ার ইসলামকে বলেন, ওয়াজ মাহফিল এদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি থেকে মুছে দিতে বিভিন্ন বিদেশী সংস্কৃতি আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু ইসলামের সৌন্দর্যের কাছে কোন কিছুই টিকতে পারেনি। কয়দিন আগে এটি নিয়ে প্রচুর পরিমাণে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি ও হয়েছে যে, ‘গ্রামগঞ্জে আগের মত যাত্রাপালা হয়না, গান-বাদ্য হয় না।’ দেশের মানুষ এখন ধর্মের প্রতি ঝুঁকছে। এ বিষয়টি অনেকের সহ্য হচ্ছে না। এর প্রতি ফল হিসেবে গণকমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা বলে আমরা মনে করি।

‘তবে আশার বিষয় হলো তারা এদেশের পরাজিত শক্তি।এদেশের মানুষ তাদেরকে কখনোই গ্রহণ করেনি। তাই তারা তাদের চক্রান্তে কখনোই সফল হবে না।’- বলেন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান

আওয়ার ইসলামকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একই কথা বলছেন গবেষক আলেম ড. আফম খালিদ হুসাইন। তার মতে,  স্বাধীনতার পর থেকে একটি মহল এদেশের ইসলাম ও মুসলমানদেরকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে। অনেকে এটাকে প্রায় পেশা হিসেবে নিয়ে নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা মুফতী আমিনী রহ., আল্লামা আশরাফ আলী রহ. ও আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী রহ. থাকতে অনেক আন্দোলন করেছি। বর্তমানে ওই মহলটি চাচ্ছে ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ যে দিনের আলো পাচ্ছে সেটিকে নষ্ট করে দেয়ার। এগুলো ইসলামী সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ যারা সমাজে ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদেরকে দমিয়ে দেয়ার একটি অপকৌশল।

তিনি বলেন, এ তালিকা দেখলে দেখবেন এদেশের সব ঘরণার উলামায়ে কেরামকে এতে যুক্ত করা হয়েছে। মোটকথা এদেশে যারা ইসলামকে ফোকাস করে তাদের সবাইকেই টার্গেট করা হয়েছে। দেওবন্দী, আলিয়া, বেরলবী, আহলে হাদিস কাউকেই বাদ দেয়া হয়নি। গণকমিশনের এই পদক্ষেপকে ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি আমি মনে করি সব মাসলাকের আলেমদের একসঙ্গে হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে। প্রেস কনফারেন্স করতে হবে। দুদকে স্মারকলিপি দিতে হবে। তাদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।’- বলেন, ড. আফম খালিদ হুসাইন

এদিকে দাঈ আলেমেদ্বীন শায়খ আহমাদুল্লাহও এ বিষয়টি নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, তথাকথিত গণকমিশন যে ১১৬ আলেমের কথিত তালিকা প্রকাশ করেছে তা যুগ যুগ ধরে চলে আসা গণমানুষের এই পবিত্র জমায়েতকে বিতর্কিত করা এবং আলেম সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা মাত্র। নানা সময়ে অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা, উগ্রতা ও নৈতিক স্খলনের জন্ম দেওয়া বিতর্কিত লোকদের দ্বারা গঠিত তথাকথিত গণকমিশন মূলত গণমানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

‘আমরা মনে করি এর মধ্য দিয়ে এই ভূঁইফোড় সংগঠনটির কর্তা-ব্যক্তিদের ইসলাম-বিদ্বেষী চেহারাই উন্মোচিত হয়েছে। তাদের বিগত দিনের কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তা এর প্রমাণ। এদেশের দীনি শিক্ষা-ব্যবস্থা, আলেম-উলামা ও ওয়াজ মাহফিলের বিরুদ্ধে চিহ্নিত একটা শ্রেণি প্রায়ই বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করে। আমরা মনে করি, এটি তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। এর মাধ্যমে তারা এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে আমাদের প্রবল সন্দেহ। তাদের এই হীন চেষ্টা বুমেরাং হবে ইন-শা-আল্লাহ।’ বলেন, শায়খ আহমাদুল্লাহ

এদিকে গণকমিশনের করা ১১৬ আলেমের তালিকায় রয়েছেন ওয়ায়েজ মুফতি গিয়াস উদ্দীন তাহেরী। বিষয়টি নিয়ে আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি একটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত তালিকা। কোনো ধরণের বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই গণকমিশন তাদের মন মতো করে একটি তালিকা করে দুদকে পেশ করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

‘আমি কোন প্রকার অবৈধ লেনদেনের সাথে জড়িত নয়। তাছাড়া সবসময় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমি বক্তব্য দিয়ে থাকি। কোন প্রকার দুর্নীতির সাথে আমার সম্পর্ক নেই। ইসলাম, দেশ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষে কথা আমি কথা বলি। দেশ কিংবা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির বিরুদ্ধে কিছু বলার তো প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি নিয়ে আমি আইনজীবিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’-বলেন মুফতি গিয়াস উদ্দীন তাহেরী

প্রসঙ্গত, দুদকের কাছে দেওয়া ১১৬ আলেমের রয়েছেন, ১. মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, ২. মাওলানা সাজিদুর রহমান, ৩. মুফতি রেজাউল করিম, ৪. মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, ৫. মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, ৬. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (বাশার), ৭. মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, ৮. মুফতি দিলওয়ার হোসাইন সাইফী, ৯. মাওলানা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী, ১০. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভূজপুরী, ১১. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, ১২. মাওলানা মুহিব খান, ১৩. মুফতি সাঈদ আহমদ কলরব, ১৪. মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, ১৫. মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, ১৬. মাওলানা আব্দুর রহিম বিপ্লবী, ১৭. মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, ১৮. মাওলানা বজলুর রশিদ, ১৯. মুফতি নাজিবুল্লাহ আফসারী, ২০. মাওলানা ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী, ২১. মুফতি নূর হোসেন নুরানী, ২২. মুফতি কাজী ইব্রাহিম, ২৩. মাওলানা গোলাম রাব্বানী, ২৪. মাওলানা মুজাফফর বিন মহসিন, ২৫. মাওলানা মোস্তফা মাহবুবুল আলম, ২৬. মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবি, ২৭. মাওলানা শায়েখ সিফাত হাসান, ২৮. মাওলানা মোহাম্মদ রাকিব ইবনে সিরাজ, ২৯. মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, ৩০. মাওলানা মতিউর রহমান মাদানী, ৩১. মাওলানা মুজিবুর রহমান, ৩২. মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ৩৩. মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দীকী, ৩৪. মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালী, ৩৫. মাওলানা মেরাজুল হক কাসেমী, ৩৬. মুফতি মুহসিনুল করিম, ৩৭. মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, ৩৮. মাওলানা আবদুল খালেক সাহেব শরিয়তপুরী, ৩৯. মুফতি মাহমুদ উল্লাহ আতিকী, ৪০. মুফতি উসমান গণি মুছাপুরী, ৪১. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৪২. মুফতি শিহাবুদ্দীন, ৪৩. মুফতি মুসতাঈন বিল্লাহ আল-উসওয়ায়ী, ৪৪. মাওলানা আশরাফ আলী হরষপুরী, ৪৫. মাওলানা জাকারিয়া, ৪৬. মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী, ৪৭. মুফতি আনোয়ার হোসাইন চিশতী, ৪৮. মাওলানা আতিকুল্লাহ, ৪৯. মাওলানা বশির আহমদ, ৫০. মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মিরপুরী, ৫১. মাওলানা রিজওয়ান রফিকী, ৫২. মাওলানা আবরারুল হক হাতেমী, ৫৩. মাওলানা রাফি বিন মুনির, ৫৪. মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম জাবেরী, ৫৫. মাওলানা মোতাসিম বিল্লাহ আতিকী, ৫৬. মুফতি শেখ হামিদুর রহমান সাইফী, ৫৭. মাওলানা আজহারুল ইসলাম আজমী, ৫৮. মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ৫৯. মাওলানা কামাল উদ্দিন কাসেমী, ৬০. মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৬১. মাওলানা মাজহারুল ইসলাম মাজহারী, ৬২. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস, ৬৩. মুফতি এহসানুল হক জিলানী, ৬৪. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জিহাদি, ৬৫. মুফতি আব্দুল হক, ৬৬. মুফতি শাহিদুর রহমান মাহমুদাবাদী, ৬৭. মাওলানা ইসমাঈল বুখারী, ৬৮. মাওলানা জয়নুল আবেদীন হাবিবী, ৬৯. মাওলানা ইউসুফ বিন এনাম, ৭০. মাওলানা শাববীর আহমদ উসমানী, ৭১. মুফতি জাহিদুল ইসলাম যায়েদ, ৭২. মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম জামী, ৭৩. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ৭৪. মাওলানা ইসমাইল হোসাইন, ৭৫. মুফতি আব্দুর রহিম হেলালী, ৭৬. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৭৭. মাওলানা মুশাহিদ আহমদ উজিরপুরী, ৭৮. মাওলানা কাজিম উদ্দীন (অন্ধ হাফেজ), ৭৯. মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, ৮০. মুফতি হারুনুর রশিদ, ৮১. মাওলানা আবুল কাসেম, ৮২. মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, ৮৩. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৮৪. মাওলানা জাকারিয়া নাটোর, ৮৫. মাওলানা আবুল হাসান (সাদী), ৮৬. মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৮৭. মুফতি মামুনুর রশিদ কামালী, ৮৮. মাওলানা আবদুল কালাম আজাদ, ৮৯. মাওলানা ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী (নওমুসলিম), ৯০. মাওলানা শামসুল হক যশোরী (নওমুসলিম), ৯১. মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ, ৯২. মাওলানা মুফতি ওলিউল্লাহ, ৯৩. মাওলানা বেলাল হুসাইন ফারুকী, ৯৪. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৯৫. মাওলানা আমির হামজা, ৯৬. মাওলানা মিজানুর রহমান আযহারী, ৯৭. মাওলানা তারেক মনোয়ার, ৯৮. মাওলানা আব্দুল হালিম বোখারী, ৯৯. মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, ১০০. মাওলানা আফম খালিদ হোসেন, ১০১. মাওলানা মামুনুল হক, ১০২. মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ১০৩. মাওলানা মুশতাকুন্নবী, ১০৪. মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, ১০৫. মাওলানা কুতুব উদ্দীন নানুপুরী, ১০৬. মাওলানা বেলাল উদ্দীন, ১০৭. মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, ১০৮. মাওলানা রুহুল আমিন যুক্তিবাদী, ১০৯. মাওলানা আবুল কালাম বয়ানী, ১১০. মাওলানা রফিকুল্লাহ আফসারী, ১১১. মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-আমিন, ১১২. মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসাইন সাইফী, ১১৩. মাওলানা আলাউদ্দীন জিহাদি, ১১৪. মাওলানা আবু বকর মোহাম্মদ জাকারিয়া, ১১৫. জৈনপুরী সিলসিলার মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, ১১৬. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী প্রমুখ।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ