বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
অবৈধ মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ করতে চালু হচ্ছে এনইআইআর সিস্টেম ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানের সফল উড্ডয়ন বাংলাদেশে সৌদি সরকারের পাঠানো কোরবানির মাংস বিতরণ শুরু ‘জুলাই সনদ পাস না হলে শহীদদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে’ এআইতে মানুষের অংশীদারত্বই হবে সবার মূল শক্তি: লিংকডইন সিইও জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুজালা ও আবনা সম্মেলন কাল প্রান্তিক মানুষদের পাশে বিত্তশালীদের দাঁড়ানোর আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হবে, সতর্ক থাকুন: প্রধান উপদেষ্টা মাদরাসা শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান, আহত ১৫ শিক্ষাব্যবস্থার পচন দূর করতে শুধু কমিশন করে কোনো লাভ হবে না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

‘ডায়রিয়া রোধে ২৩ লাখ মানুষকে টিকা খাওয়ানো হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, ডায়রিয়াজনিত সমস্যার কারণ নির্ণয় ও সমাধানে ওয়াসার সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ডায়রিয়া হঠাৎ কোনো সমস্যা নয়। এটা প্রায়ই হয়, আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। যদি পানিতে কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তবে ওয়াসা সেটি দেখবে। আমরাও আমাদের সেবা চালিয়ে যাবো।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় দেশের রাজধানীসহ সারাদেশে ডায়রিয়া ব্যাপক সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।

ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, দুই ডোজের এ কলেরার টিকাদান কর্মসূচির প্রথম ডোজ দেওয়া হবে মে মাসে। সব মিলিয়ে ২৩ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে জুন মাসে। গর্ভবতী নারী ছাড়া এক বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এ টিকা দেওয়া হব। প্রথম ধাপে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় এ টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এলাকাগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও সবুজবাগ।

টিকাগ্রহণের প্রক্রিয়া বিষয়ে তিনি বলেন, টিকা কার্যক্রমটি নিয়ে আমরা এখনো কাজ করছি। টিকা গ্রহণ করতে হলে আলাদা কোনো নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। নির্দিষ্ট তারিখ ও কেন্দ্র বাছাই হলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। নিকটস্থ কেন্দ্রে গেলেই টিকা নেওয়া যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ডায়রিয়ার প্রকোপ রোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। কেউ ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে খাবার স্যালাইন গ্রহণের পাশাপাশি নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। জেলা-উপজেলাসহ আমাদের প্রতিটি হাসপাতালই প্রস্তুত রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডায়রিয়া হলেই আইসিডিডিআরবি হাসপাতালটির নাম মাথায় চলে আসে। কারণ, এই হাসপাতালটির আগে নাম ছিলো কলেরা হাসপাতাল। এই কারণেই মানুষ হাসপাতালটিতে এসে ভিড় জমাচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রতিটি হাসপাতালই ডায়রিয়া চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত।

সারাদেশে মোট ৪ হাজার ৫২৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে ৫০০ মিলি ব্যাগ আইভি স্যালাইন মজুত আছে ৩ লাখ ৩০ হাজারটি, ১০০০ মিলি ব্যাগ আছে ৪ লাখ। এছাড়াও ১০০০ মিলি ব্যাগের আরও ১ লাখ ৬০ হাজার আইভি স্যালাইন শিগগির কেনা হচ্ছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ