শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে গোপালগঞ্জে ওলামা-মাশায়েখ  সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৌদির শাসকদের নিয়ে যা বললেন গ্র্যান্ড মুফতি কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির সেবায় নিয়োজিত করার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে? ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের আলী রীয়াজসহ সংস্কার কমিশনের সব সদস্যকে গ্রেফতার করতে হবে: মাওলানা ইউসুফী আমরা মওদুদি ইসলাম নয়, মদিনার ইসলামের অনুসারী: সালাহউদ্দিন নতুন বাংলাদেশ গড়তে ইসলামী আদর্শের দিকে ফিরে আসতে হবে: প্রফেসর মুজিবুর রহমান জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন করে দেশ ও শ্রমিকদের অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করুন: ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন  জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে ফ্যাসিবাদ পুনরায় মাথা চাড়া দিবে  ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলা উত্তরের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনায় রেস্তোরাঁর শি'শু শ্র'মিককে পি'টিয়ে হ*ত্যার অভি'যোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নেত্রকোনার শহরে একটি রেস্তোরাঁয় ঝগড়ার জেরে শিশু শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে অপর শিশু শ্রমিকের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার রাতে শহরের বড়বাজার এলাকায় সালতি নামে ওই রেস্তোরাঁয় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু শ্রমিকের নাম ঈসমাইল (১৪)। সে সদর উপজেলা রৌহা ইউনিয়নের বড়গাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে।

এদিকে এ ঘটনায় আল মামুন নামে অপর এক কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, কনা আক্তার ও তার ছেলে ইসমাইল শহরের বড়বাজার এলাকার সালতি রেস্তোরাঁয় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। মঙ্গলবার কাজ শেষে মা কনা আক্তার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়িতে ফিরে যান। ছেলে কাজ শেষে হোটেলেই থেকে যায়।

রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই হোটেলের কর্মচারী আল মামুনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি নিয়ে ইসমাইলের ঝগড়া লাগে। একপর্যায়ে ইসমাইলকে বেধড়ক মারধর করে লাথি মেরে সিঁড়িতে ফেলে দেয় আল মামুন। এতে ইসমাইল অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাকে রাতেই নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে নেত্রকোনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে আল মামুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

রেস্তোরাঁ মালিক রাজু আহমেদ বলেন, ওই দুই শিশু শ্রমিক ঝগড়া লেগে মারামারি করলে একজন গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে শিশুটি মারা যান।

নিহত শিশুর মা কনা আক্তার বলেন, আমিও একই হোটেলে কাজ করি। কাজ শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়িতে চলে যাই। যাওয়ার সময় আমার কাছ থেকে ২০ টাকা খাওয়ার জন্য রাখে। আমি বাড়িতে গেলে খবর পাই আমার ছেলেকে মেরে ফেলছে। হত্যাকারীদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

নেত্রকোনা থানার পরিদর্শক তদন্ত সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এক শ্রমিককে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ