শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে মধ্যরাতে উত্তেজনা, যুবক গ্রেপ্তার ভারতের কর্ণাটকে হিজাব পরায় হেনস্থার শিকার মুসলিম ছাত্রীরা নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে হাতপাখার নতুন প্রার্থী সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়ার বিষয়ে রাতে সিদ্ধান্ত  ‘জিনের বাদশাহ’ সেজে  হাতিয়ে নেন ১২ লাখ টাকা মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রেমিক যুগলের মৃত্যু অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদে তারেক রহমানের আর্থিক অনুদান আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত বন্ধে প্রতিদিন ৪ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি পাকিস্তানের আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ কোনো শক্তিই হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করতে পারবে না: নাঈম কাসেম

২১ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা গণহত্যা গণশুনানি শুরু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার তোলা আপত্তির ওপর গণশুনানি ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ এনে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা এ মামলার বিচারে আইসিজের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করেছে মিয়ানমারের জান্তা।

গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিজে জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে ২১, ২৩, ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এই শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে।

মহামারি পরিস্থিতির কারণে মিশ্র পদ্ধতিতে এই শুনানি হবে। আদালতের কিছু সদস্য গ্রেট হল অব জাস্টিসে উপস্থিত থাকবেন। বাকিরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন।

মামলার দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা সরাসরি অথবা ভিডিও লিংক ব্যবহার করে শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন এবং এ বিষয়ে নির্দেশনা আদালতের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এছাড়া কূটনৈতিক কোর, গণমাধ্যম কর্মী ও জনসাধারণ আদালতের ওয়েবসাইট ও ইউএন ওয়েব টিভির সরাসরি ওয়েব কাস্টের মাধ্যমে এই শুনানি দেখতে পারবেন।

এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অভিযোগকারী গাম্বিয়া এবং অভিযুক্ত মিয়ানমারকে তাদের আইনি যুক্তি দাখিলের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিলো আইসিজে।

গাম্বিয়াকে ওই বছরের ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের অভিযোগের বিষয়ে আইনি যুক্তিগুলো উপস্থাপন করতে বলা হয়েছিল। অন্যদিকে অভিযোগের মুখে থাকা মিয়ানমারকে তাদের নির্দোষিতার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে এ মামলার কার্যক্রমে ভাটা পড়ে।

পাঁচ বছর আগে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে যে বর্বরতা চালানো হয়, তার মধ্য দিয়ে দেশটি ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে এ মামলায়। হেগের পিস প্যালেসে ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর এ মামলার ওপর প্রাথমিক শুনানি হয়।

তাতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। অন্যদিকে মিয়ানমারের পক্ষে শুনানি করেন নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি, যিনি এখন মিয়ানমারের জান্তার হাতেই বন্দি। গতবছর ফেব্রুয়ারিতে এক সামরিক অভ্যুত্থানে সু চির দল এনএলডির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে আবারও সামরিক শাসন ফিরিয়ে আনে দেশটির সেনা নেতৃত্ব।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ