মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৫ পৌষ ১৪৩২ ।। ১০ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় আসছেন যারা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিক শোক জানালেন শায়েখে চরমোনাই ‘খালেদা জিয়ার আগে মারা যাওয়ার দাবিটি গুজব, রাতেও তিনি ডায়ালাইসিস পেয়েছেন’ ডিসেম্বরের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩ বিলিয়ন ডলার পুলিশের ওপর হামলা মামলায় ভোলায় আ.লীগের দুই নেতা আটক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বেফাকের কার্যক্রম বন্ধ খালেদা জিয়ার মৃত্যু: শোক বইয়ে ২৮ দেশের কূটনীতিকের স্বাক্ষর বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের শোক খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে : মাওলানা জুবায়ের আহমাদ

হজরত মানসূর বিন মু‘তামির রহ. এর পরকাল ভাবনা ও মুজাহাদার বেনজির উপমা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুযযাম্মিল হক উমায়ের।। তিনি রাতে ছাদের উপর ওঠে নামায পড়তেন৷ যখন তিনি ইন্তেকাল করেন, তখন প্রতিবেশীর এক মেয়ে তার বাবাকে বললো, বাবা! ওই ছাদের উপর যে একটি খুঁটি ছিলো, সেটি তো এখন দেখি না৷ উত্তরে বাবা বললো, সেটি খুঁটি ছিলো না৷ তিনি বুজুর্গ মানসূর বিন মু‘তামির ছিলেন৷ তিনি ছাদে ওঠে সারা রাত নামায পড়তেন৷

ষাট বছর যাবত তিনি দিনে রোযা রাখতেন আর রাতে নামায পড়তেন৷

রাতের অধিকাংশ সময় তিনি রোনাজারি কান্নাকাটি করতেন৷ অধিক কান্নার কারণে তাঁর উপর ঘরবাসীর দয়া চলে আসতো৷ কিন্তু তিনি সকাল হলেই চোখে সুরমা দিয়ে, তেল ব্যবহার করে অত্যন্ত প্রফুল্ল-সতেজ দেহ ও মন লোকজনের সামনে বের হতেন৷ যেনো লোকেরা ভাবে তিনি সারা রাত অত্যন্ত আরামের সাথে ঘুমিয়েছেন৷ মূল উদ্দেশ্য ছিলো, তাঁর রাতের ইবাদত যেনো লোকজনের অজানা থাকে৷

তিনি বলতেন, যদি এই কথা মেনে নেওয়া হয় যে, দুনিয়ার ভালোবাসা ছাড়া আমাদের আর কোন গুনাহ নেই, তবুও এই গুনাহটিই আমাদেরকে জাহান্নামের উপযুক্ত করে দিতে পারে৷

তিনি আলেমদেরকে বলতেন, আপনারা তো ইলমের স্বাদ গ্রহণ করেন নিজেরা শুনে এবং অন্যদেরকে শুনিয়ে অথচ ইলম দ্বারা মূল উদ্দেশ্য হলো, আমল৷ যদি আপনার ইলম অনুযায়ী আমল করতেন, তাহলে দুনিয়া হাসিল থেকে বিরত থাকতেন৷ কারণ, ইলমের মধ্যে এমন কোন অংশ নেই, যা দুনিয়াকে ভালোবাসার দিকে উৎসাহিত করতে পারে৷

তিনি বলতেন, সবচেয়ে দুনিয়া বিমূখতা হলো, মানুষের সাথে ওঠাবসা ও তাদের খাতির-তাওয়াজু থেকে নিজেকে বিমূখ করে রাখা৷

তিনি দুআয় বলতেন, আয় আল্লাহ তায়ালা! আপনি আমাকে সন্তান দিবেন না৷ সম্পদ দিবেন না৷ ঘরবাড়ি দিবেন না৷ কোন খাদেম দিবেন না৷ এমনকি যেসব জিনিস আপনি দিয়েছেন এবং সেগুলো থেকে যেগুলোকে অপছন্দ করেন, সেগুলোও আমার কাছ থেকে সরিয়ে নেন৷

সূত্র: আকওয়ালে সালফ

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ