বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ নেতৃত্বের গুণগত পরিবর্তন: মিয়া গোলাম পরওয়ার সীমান্তে ভারত কর্তৃক সকল হত্যাকাণ্ডের জবাব বাংলাদেশকে চাইতে হবে: খেলাফত মজলিস গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধের জোরালো প্রমাণ রয়েছে: জাতিসংঘ মহাসচিব বন ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় ২ অধ্যাদেশ পাস বাংলাদেশে আসছে ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘পেপাল’ ১৬ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাচ্ছে মেটা গাজায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তার ঘোষণা চীনের আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিএনপির মামদানির গ্রেফতারের হুমকি সত্ত্বেও নিউইয়র্ক যাওয়ার ঘোষণা নেতানিয়াহুর

পাকিস্তানে নিজেকে নবী দাবি করা এক নারীর মৃত্যুদণ্ড

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ধর্ম অবমাননার অপরাধে পাকিস্তানের একটি আদালত সালমা তানভীর নামের একজন নারী স্কুল অধ্যক্ষকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সালমা লাহোরের নিশতার কলোনির একটি বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন।

লাহোরের একটি জেলা ও দায়রা আদালত সোমবার তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে এবং ৫ হাজার রুপি (২৯ ডলার) জরিমানা করেছে।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মনসুর আহমদ রায়ের পর্যবেক্ষণ বলেন, মোহাম্মদ সা. ইসলাম ধর্মের শেষ নবী নন বলে ধর্ম অবমাননা করেছেন সালমা তানভীর। এ ছাড়া তিনি নিজেকে ইসলামের একজন নবী বলেও দাবি করেছেন।

লাহোর পুলিশ ২০১৩ সালে স্থানীয় এক আলেমের অভিযোগের ভিত্তিতে তানভীরের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের করেছিল। তার বিরুদ্ধে নবী মোহাম্মদকে সা. শেষ নবী হিসেবে স্বীকার না করার অভিযোগ ছিল এবং তিনি নিজেকেও ইসলামের একজন নবী বলে দাবি করেছিলেন।

সালমা তানভীরের আইনজীবী মোহাম্মদ রমজান বলেন, তার মক্কেল ‘অস্থির মনের মানুষ’। আদালতকে এই বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল।

তবে আদালতে দাখিল করা পঞ্জাব ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথের একটি মেডিকেল বোর্ডের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি মানসিকভাবে বিকৃত না হওয়ায় বিচারের জন্য উপযুক্ত’।

পাকিস্তানের বিতর্কিত ধর্মঅবমাননা আইন এবং তাদের নির্ধারিত শাস্তি অত্যন্ত গুরুতর। ১৯৮৭ সাল থেকে পাকিস্তানে এই আইনে কমপক্ষে ১৪৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

ধর্মঅবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সাধারণত তাদের পছন্দের একজন আইনজীবী পাওয়ার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়। কারণ অধিকাংশ আইনজীবী এই ধরনের সংবেদনশীল মামলায় ওকালতি করতে চান না।

ব্লাসফেমি আইন ঔপনিবেশিক যুগ থেকেই প্রচলিত ছিল। কিন্তু সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউল হক এই আইনে সংশোধন এনে শাস্তির তীব্রতা বাড়িয়েছেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ