শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মসজিদে নববীতে এক দিনে বিতরণ ১৮৩ টন জমজমের পানি কলকাতায় বাংলাদেশি ইলিশের দাম চড়া, আগ্রহ হারাচ্ছে ক্রেতারা মাদরাসাতুল কুরআনে ‍দুই দিনব্যাপী সিরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত আগামী সরকার জুলাই আত্মত্যাগকে ধারণ করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  ভারত থেকে দেশবিরোধী অপকৌশলে লিপ্ত শেখ হাসিনা: এ টি এম আজহার ৩৭ বছরের ইমামকে রাজকীয় বিদায় ইমাম-খতিবদের হয়রানি বন্ধে হেফাজতের ‘বিশেষ সেল’ খোলার আহ্বান এদেশের সব ভালো কাজেই বিএনপির অবদান রয়েছে: মির্জা ফখরুল সংকট এড়িয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান সালাহউদ্দিনের জামায়াতের আমির হামযার বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ মুহসীন হল শিক্ষার্থীদের

মিসর আন্তর্জাতিক বইমেলায় ‘বেস্ট সেলার’ মাওলানা আবদুল মালেকের বই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাহদী হাসান চৌধুরী: প্রতি বছর জানুয়ারির শেষ ও ফেব্রুয়ারির শুরুর সময় মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত হয় আরবি ভাষা ও ইসলামী কিতাবের সর্ববৃহৎ বইমেলা। সবধরনের কিতাব সহজেই পাওয়ার জন্য মিসরের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই মেলার আয়োজন করা হয়। কাজেই এই বইমেলার জন্য উৎসুক হয়ে থাকেন বিশ্বের আরবি ভাষার বইপ্রেমীরা। এই মেলায় দিনে এক লাখ পাঠক ও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারেন।

এবার করোনাকালীন সময়েও বইমেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সময়ের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। মেলাটি এ বছর ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলে। কিন্তু বরাবরের মতো প্রথম দিনেই ৭২ হাজার দর্শনার্থী বইমেলায় প্রবেশ করেন। তবে এবারের মেলাটি থেকে বাংলাদেশীদের জন্য একটি সুসংবাদ আছে।

কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০২১-এ ‘দার আল-রায়াহীন’ নামে একটি বৈদেশিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের শায়খ মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মালেকের হাদিস শাস্ত্রের প্রাথমিক বিষয়াদি নিয়ে চমৎকার আরবি ভাষায় রচনা ‘আল মাদখাল ইলা উলূমিল হাদিস’ বইটি প্রকাশ করে। মেলা শেষে এই কিতাবটি ‘দার আল-রায়াহীন’ প্রকাশনার ‘বেস্ট সেলার’ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রকাশনা কর্তৃপক্ষ।

মিসর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আল ফারুক এ বিষয়ে বলেন, এই বইটি অনেককেই কিনতে দেখেছি। কেউ কেউ অন্যের কাছে দেখে উদ্ধুদ্ধ হয়ে কিনেছেন। সবমিলিয়ে ‘আল মাদখাল’-এর মতো সুন্দর একটি রচনার প্রতি ছাত্রদের আগ্রহ না থাকার কোনো কারণ নেই।

এ কিতাবটির প্রধান উপকারিতা কী– ঢাকার জামিয়া মালিবাগের ইসলামী আইন বিভাগের গবেষক, মুফতি আসাদুল্লাহ নাঈম বলেন, যেকোনো গবেষক আলেমের জন্য এই কিতাবের জ্ঞানগুলো থাকা আবশ্যক। হাদিসের কিতাবগুলো বিভিন্ন ধাঁচে সংকলন করা হয়েছে। সব কিতাবের সংকলন পদ্ধতি এক নয়। অসংখ্য কিতাবাদির কোন কিতাব থেকে কিভাবে কোন বিষয়ের হাদিস বের করা হবে, সহজভাবে এর মৌলিক ধারণা দিয়েছে ‘আল মাদখাল’ কিতাবটি।

উল্লেখ্য, শায়খ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক বাংলাদেশের উচ্চতর ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া, ঢাকার শিক্ষা সচিব। কেন্দ্রটি পরিচালনা করেন তার বড় ভাই মুফতি আবুল হাসান মুহা: আব্দুল্লাহ। যেখানে ধর্মের প্রতিটি বিষয় নিয়ে সর্বোচ্চ গবেষণার কাজ হয়।

হাদিসসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রসূত কাজের মাধ্যমে শায়খ মুহাম্মদ আব্দুল মালেক গোটা আলেম সমাজের মধ্যমণি হয়ে ওঠেন। তাছাড়া তার কল্যাণে বহির্বিশ্বের অনেক দেশে মারকাযুদ দাওয়াহ প্রতিষ্ঠানটির সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। আরব বিশ্ব জানতে পারে— বাংলাদেশেও ইসলামের সকল বিষয় নিয়ে পরিপূর্ণ গবেষণা চলমান।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ