শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৩ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কচুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিসের নতুন কমিটি ঘোষণা কেবল নেতা পরিবর্তন করতে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই : শায়েখে চরমোনাই জুলাই চেতনার সাথে গাদ্দারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না : নেজামে ইসলাম পার্টি  চাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ঘোষণা হক্কানী আলেমদের পরামর্শে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতির জন্য কল্যাণকর: জমিয়ত আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল শনিবার ঢাকায় কচুয়ার উলামায়ে কেরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লার নূর মসজিদ মাদরাসায় একাধিক শিক্ষক নিয়োগ পিআর পদ্ধতি জনতা না চাইলে আমরাও আর দাবী করবো না: শায়েখে চরমোনাই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: মহাসচিব 

ছাত্রকে বেত বা লাঠি দিয়ে মারার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শিক্ষাঙ্গনে একটি বিষয় প্রচলিত আছে যে, শিক্ষক ছাত্রদের শরীরের যে স্থানে পিটান তা জাহান্নামের জন্য হারাম হয়ে যায়, বিষয়টি কি সহীহ? এমন একটি প্রশ্ন আসে দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে।

জবাবে তারা বলেন, কুরআন-হাদিস ও গ্রহনযোগ্য কোনো কিতাবে আমারা এই বিষয়টি পাইনি যে, উস্তাদ শরীরের যে অংশে পিটান, জাহান্নামের আগুন সেই অংশের জন্য হারাম হয়ে যায়।

বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত মেরদাস রা. কে উদ্দেশ্য করে বলেন, (যিনি বাচ্চাদের পড়াতেন ) ‘বাচ্চাদের তিনটার বেশি মারবে না। যদি তুমি তিনটার বেশি মারো, তাহলে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত দিবসে তোমার থেকে ক্বিসাস বা বদলা নিবেন’।

ফিকাশাস্ত্রবিদগন এই হাদীসের আলোকে বলেন, শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য উস্তাদ হাতের মাধ্যমে হালকাভাবে বাচ্চাদের মারতে পারবে কিন্তু এক‌ সাথে তিনবারের বেশি নয়।

ইসলামী শরীয়তে বেত, লাঠি, চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি দ্বারা কখনও মারা জায়েজ নয়, চাই সেটা এমন বিষয় হোক যা শিক্ষা দেওয়া ফরজে আইন বা ফরজে কেফায়া।

এরকমভাবে পিতা-মাতা শাসন করার জন্য বাচ্চাদের সাধারণভাবে মারতে পারবে। বেত-লাঠি ইত্যাদি দিয়ে মারা জায়েজ নয়। এইজন্য মাদরাসা মক্তবে উস্তাদগনের জন্য বাচ্চাদের বেঁধে বেত-লাঠি, চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি দিয়ে মারা জায়েজ নয়।

উস্তাদগনের জন্য এই সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। আদর-স্নেহ-মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে পড়ানো উচিত। হ্যাঁ, প্রয়োজনের সময় শাসন করার জন্য হালকাভাবে মারতে পারে। ফতোয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ (ফতোয়া নাম্বার : 305-325/N=4/1439)

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ