শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫


জমিয়তের নতুন কাণ্ডারী মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর বেড়ে ওঠা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।। ডেপুটি এডিটর> কিংবদন্তী আলেম ও দেশের প্রচিনতম ইসলামিক রাজণৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব শাইখুল হাদিস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বিদায় নিয়েছেন। আজ ১৪ ডিসেম্বর রাজকীয় জানাজার মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরের আলেম উলামা ছাত্র সমাজ ও সাধারণ মানুষের অশ্রুভেজা বিদায়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজের ইমামতি করেছেন, মুফতি জাবের কাসেমী। সমাধিত হয়েছেন টঙ্গী তুরাগের জামিয়া সুবহানিয়া মাদরাসার আঙ্গীনায়। শাইখুল হাদিস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর বিদায়ে শূণ্য হয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব পদটি। গতকাল রোববার রাতে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসায় জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা জিয়াউদ্দীনের উপস্থিতিতে, দেশের শীর্ষ আলেমদের পরামর্শে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনোনিত করা হয়।

জানা যায়, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি ইসলামবাগ বড় মসজিদের খতিব, জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহা-সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী শৈশব থেকেই একটি রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠেছেন। চিন্তা দর্শনও পেয়েছেন দেওবন্দী আদর্শের। তার দাদাজান মরহুম মাওলানা ইহসানুল হক আফেন্দি একজন খ্যাতিমান আলেম ছিলেন। ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্র সেনানী। তার দাদা মাওলানা ইহসানুল হক রচিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও মুসলমানদের কর্তব্য’ নামে ব্রিটিশ বিরোধী গ্রন্থ রচনা করেন। গ্রন্থ রচনার অপরাধে দেড় বছর স্বশ্রম কারাভোগও করেছেন তিনি। উপমহাদেশের শাইখুল হাদিস ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানীর সঙ্গে তার দাদার ছিলো পরম সখ্য। শিষ্য ইহসানুল হক আফেন্দির টানে নিলপামারির ডোমার এলাকার সোনারায় গ্রামে বারবার ছুটে এসেছেন আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.। এখনো আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর স্মৃতিবিজড়িত জুতা বদনা ও নানা সামগ্রী সংরক্ষিত আছে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর বাড়িতে।

মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর বাবা জনাব রশিদুল হাসান জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে একজন চেয়ারম্যান ছিলেন। মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র জামিয়তের সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। নন্দিত এ ওয়ায়েজ মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা শাসসুদ্দিন কাসেমী রহ. এর হাতেগড়া সন্তান। আত্মসুদ্ধী বা তাসাউফের দীক্ষা নিয়েছেন শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর কাছ থেকে। বায়াতও হয়েছেন খেলাফতও গ্রহণ করেছেন। দেওবন্দী চিন্তা দর্শন ও হজরত মাদানীর আদর্শ লালনকারী পরীক্ষিত এ মানুষটি জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জমিয়তের নেতাকর্মীদের মাঝে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ