বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই  ইবনে শাইখুল হাদিস এর আগমন উপলক্ষে শৈলকুপায় ব্যাপক প্রস্তুতি পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেতুয়া হুজুরের বাড়িতে ইসলাহি মাহফিল

এএসপি আনিসুল করিমকে হত্যা করা হয়েছে: ডিসি হারুন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ। আজ মঙ্গলবার শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, চাকরির কারণে তিনি বরিশালে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে তার শরীর খারাপ হওয়ায় অর্থাৎ তিনি চুপচাপ হয়ে যাওয়ায় তাকে সরকারি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মানসিক হাসপাতালে থেকে রোগী হঠাৎ করে কিভাবে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চলে গেলেন বুঝতে পারলাম না।

ডিসি হারুন বলেন, কিন্তু আমরা যখন ভিডিও দেখলাম ৮-১০ জন লোক, কেউ তার মাথায় আঘাত করছে, কেউ পিঠে আঘাত করছে। তাকে টেনেহিঁচড়ে জোর করে নিয়ে যাচ্ছে। ভিডিও দেখে আমাদের স্পষ্ট মনে হয়েছে এটা হত্যাকাণ্ড । এই জন্য হত্যাকাণ্ড যে ৮-১০ জন লোক তাকে পিঠমোড়া করে নিয়ে গেছে তারা কেউ ডাক্তার না। তারা তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় এবং তাকে মারধোর করে।

তাদের প্রত্যককেই আমরা গ্রেফতার করেছি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আদাবরের মাইন্ড এইড নামে মানসিক হাসপাতালটির কোনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাগজ নেই। তাদের কোনো ডাক্তার নেই। এছাড়া মানসিক হাসপাতাল চালানোর জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লাইসেন্স দরকার সেটিও তারা আমাদেরকে দেখাতে পারেনি। এই ভুঁইফোড় হাসপাতালে সরকারি মানসিক হাসপাতালের রোগী কিভাবে গেল- এর সঙ্গে কোনো দালাল জড়িত কিনা সেটাও আমরা দেখছি। এছাড়া কি উদ্দেশ্যে তাকে সরকারি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আমরা সেটি তদন্ত করে দেখব।

অন্যদিকে হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির লোকজনকেও আমরা গ্রেফতার করব। হাসপাতালের মালিকও আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। কয়েকজন রোগী আছে তারা চলে গেলে ভুঁইফোড় হাসপাতালটি আমরা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান হারুন।

তিনি বলেন, আদাবর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় কিছু অ্যাম্বুলেন্স আছে যারা সরকারি হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা থাকা সত্যেও রোগীদের এসব ভুঁইফোড় হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর সঙ্গে সরকারি হাসপাতালের কিছু ডাক্তারও জড়িত থাকতে পারে। আমরা এসব বিষয় তদন্ত করে সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ