বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
এক লাফে ভরিতে ৮৩৮৬ টাকা কমল স্বর্ণের দাম জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াতে ইসলামী ১৮তম জাতীয় তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ২০ ও ২১ নভেম্বর ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিশ্বের প্রভাবশালী ইহুদিদের চিঠি  গণভোট নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে জটিলতা তৈরির অভিযোগ জামায়াতের ‘পাঁচ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে’ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের সাথে ঐকমত্য কমিশনের সভা শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা দিতে ছয় দফা সুপারিশ চিকিৎসকদের  ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কারাগারে অভিযুক্ত বুয়েট শিক্ষার্থী  ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানার

মুশফিকের এই ভালোবাসায় আন্দোলিত আমি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাসউদুল কাদির।।

লেখক, সাংবাদিক

কওমি অঙ্গনের বাতাসও নদীর মতোই। একদিকে শুকিয়ে যায় আবার আরেকদিকে নদীর গভীরতা বাড়ে। একদিকে ভাঙ্গে আরেকদিকে গড়ে। গানে আছে এই তো নদীর খেলা।

কওমি অঙ্গনও ঝড়ের কবলে। এক মাদরাসার মুহতামিম বলেছিলেন, আমি ছেলেদের সাপ্তাহিক বক্তৃতা প্রশিক্ষণের বিরোধী। কারণ, এ থেকে ছেলেরা আন্দোলনের সবক নেয়। আদতে কি তাই? সত্যটা হলো, এসব ভুঁইফোড় আন্দোলনের জন্য কোনো অভিজ্ঞতা লাগে না। জায়দির মতো একজন মাননীয় প্রেসিডেন্টকে জুতো মেরে মুহতামিম হয়েছেন। এটা অবশ্য সে পুরস্কার নয়। তবে জেদি, সাহসি মানুষ এখন পাওয়া দুষ্কর। মাননীয় উস্কানীদাতার সংখ্যা অনেক বেশি। কোনো লাভ ছাড়াই সে কাজটি অনেকেই আমরা করে থাকি। কওমি অঙ্গন তার মূলের দিকে ফিরছে না। স্বীকৃতিসহ কোনো ফসলই তারা ঘরে তুলতে পারছে না। তা হলফ করেই বলা যায়। মুখে ইখলাসের কথা বললেও বাস্তবতা ভিন্ন।

আমরা প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছি। সবখানে হেরে যাচ্ছি। তারুণ্য জেগে উঠছে। শিখছে, জানছে, নতুন পৃথিবী নির্মাণে তাদের অগ্রসর ভূমিকা এখন হিসাবের খাতায় উঠে এসেছে। কিন্তু এখনো কি কওমি অঙ্গনের চিন্তাশীলগণ নতুন করে ভাববেন না? আমরা আসলে কোন দিকে যাচ্ছি।

আজকে কেউ বিপদে পড়লেই আমরা বলি, তার তো অনেক দোষ। কিন্তু মূলের দিকে, বাস্তবতার অনুসন্ধান কেউই করি না। কেউ খোঁজও নিতে পারি না। আজকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও বলা যায় আমরা অপব্যবহারই করে চলেছি। একে কাজে লাগিয়ে তারুণ্য জাগিয়ে আরও উদ‌্যমি করার প্রয়াস অপ্রতুল। চিন্তার প্রসারতা বাড়ানো উচিত। চিন্তাশীল আলেম ও মানুষ তৈরি এখন যেমন সময়ের দাবি তেমনি সরকারের সর্বত্র কওমি তরুণদের কর্মক্ষেত্র নিয়েও ভাবা উচিত।

অভিনন্দন মুশফিকুর রহিম। বরাবরই ক্রিকেট দুনিয়ায় পরিচিত এই মানুষটির সামাজিক কর্ম আমাকে উৎসাহিত করে। তাকে ইস্তেমায়, তাবলীগে, মসজিদে নানা জায়গায় যখন দেখি-প্রাণিত হই। উৎসাহিতবোধ করি।

দেশের প্রথম সারির একটি পত্রিকায় মাদরাসার ছাত্র ইয়ামিন ও তার মায়ের ছবি নিয়ে যখন তালগোল করে নানা কথা উড়ছে, তখনই তিনি সিনানের পাশে দাঁড়ালেন। ভালোবাাসার হাত রাখলেন। জগত বড়ই সুন্দর। সব মিথ্যার বিরুদ্ধে মুশফিকের এই ভালোবাসার হাত প্রচণ্ডরকম আন্দোলিত করেছে আমাকে। আমি হৃদয়বিগলিত চিত্তে মুশফিকুর রহিমের এই ভালোবাসার হাতের জন্য দুআ করছি।

দুনিয়ার মায়েদের কদমে সালাম। নিজের সন্তানকে বড় করে তুলতে কতই না চেষ্টা করেন তারা। আল্লাহ এই মায়েদের জাযায়ে খায়ের দান করুন। আমীন।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ