রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
কোরআন অবমাননার দায় স্বীকার সেই অপূর্ব পালের জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা দলগুলোর কর্মসূচি ঘোষণা তুরস্কে স্কলারশিপ পেলেন ৫ শিক্ষার্থী, এমবিএম ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা পাকিস্তানের শীর্ষ আলেম মাওলানা ফজলুর রহমান সিলেটে আসছেন ১৭ নভেম্বর জামায়াতের নির্বাচনি সভা ভণ্ডুল করে দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলায় দুই মাদরাসা শিক্ষককে হয়রানি, মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন চাঁদা না পেয়ে মসজিদের ইমামকে মারধর, স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনরত দলসমূহের যৌথ সংবাদ সম্মেলন জামায়াতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদের সিলেটে সৃজনঘরের দিনব্যাপী আয়োজনে হাজারও তরুণের আত্মনির্মাণের শপথ

ঘুরে এলাম বাংলাদেশের ‘মদিনা মসজিদ’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইহসানুল হক: সুন্দর আর চমৎকার নির্মাণশৈলী যেকোনো মানুষের হৃদয়কেই আকর্ষণ করে। টেনে নেয় চুম্বকের মতো। একটু কাছে যেতে, স্পর্শ করতে ইচ্ছে করে। আবার সেটা যদি আপনার আবেগজড়িত কোনো স্থানের নামের সাথে মিল এবং তার সাথে সাদৃশ্য তখন আর কে আটকাতে পারে ?

মসজিদে নববীর কথা শুনলে কে আবেগাপ্লুত না হয় ? রাসুল সা. এর প্রেমে কল্পপাখায় ভর করে সেই মদিনার পানে কে ছুটে যেতে না চায় ? যারা জীবনে একবারও হজ বা ওমরায় যেতে পারেননি তাঁদের মনটা হয়তো অস্থির হয়ে আছে কবে মসজিদে নববীর পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন। কবে দূর থেকে চোখের পাতায় ঝলসে উঠবে সেই সবুজ গম্বুজ। এমন আবেগ আর অস্থিরতা বুকে নিয়েই ছুটে গিয়েছিলাম বাংলাদেশের মদিনা মসজিদ দেখতে।

114218768_1168260240220996_5920916798902595673_o.jpg

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর খরিচার নিভৃত পল্লীতে নির্মানাধীন চমকপ্রদ ও নান্দনিক মদিনা মসজিদ। মসজিদে নববীর আদলে নির্মিত মসজিদটি। তাই এই নামে খ্যাতি পেয়েছে মসজিদটি। চমৎকার নির্মাণশৈলী আর প্রাকৃতিক শোভার অভূতপূর্ব সমন্বয়ে তৈরি এই মসজিদ। মসজিদের উপরে দাঁড় করানো হচ্ছে কয়েকটি মিনার ও একটি গম্বুজ। গম্বুজে এখনও রং করা হয়নি তাই দূর থেকে দেখলে মনে হয় সাদা টুপি পরা। বিশাল বৈদ্যুতিক গম্বুজটি বিশেষ প্রয়োজনে সুইচ টিপলেই বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে এক পাশে সরে যায়।

মসজিদের অভ্যন্তরে বিস্তৃত রয়েছে অবারিত দৃশ্যপট। মেহরাব ও দরজাগুলো প্রাচীন নান্দনিক কারুকার্য খচিত। মেঝে ও পিলারগুলোতে উন্নত চমৎকার দামী পাথরের মোজাইক স্থাপিত।

116708931_1168260333554320_9034405273296189733_o.jpg

পাশেই রয়েছে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত বিশাল মাদরাসা ‘জামিয়া মাহমুদিয়া’। মাদরাসার একজন উস্তাজের সাথে কথা বলে জানা গেছে প্রায় দুশো কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে মসজিদটি। ব্যয়বহুল এই মসজিদ এক নজর দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন। ভিড় করছেন প্রতিদিন। সাড়া পড়েছে আশপাশের পুরো অঞ্চল এবং মিডিয়া পাড়াতেও। মসজিদের উপরে স্থাপিত নান্দনিক কারেন্ট গম্বুজটি প্রতি শুক্রবার দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ও ততসংলগ্ন মাদরাসা যাত্রাবাড়ীর শায়েখ মাওলানা মাহমুদুল হাসান দা. বা. এর বাড়ির পাশেই। তিনিই এর প্রতিষ্ঠাতা।

116674908_1168259233554430_2100214184793780684_o.jpg

স্থানীয় লোকদের থেকে জানা গেছে তার পৈতৃক সম্পত্তির উপরেই মাদরাসা ও মসজিদটি নির্মিত। সরাসরি ময়মনসিংহ অথবা শম্ভুগঞ্জ হয়ে পরাণগঞ্জ রোডে চরখরিচায় গিয়ে মসজিদটি দেখে আসতে পারেন আপনিও।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ