রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাকির নায়েক ইস্যুতে ভারত সরকারের মন্তব্যের জবাব দিল ঢাকা ৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে : ইবনে শায়খুল হাদিস রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবেন: ইসি আনোয়ারুল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় জেলে আটক করেছে পাকিস্তান জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন মানবে না জনগণ : মামুনুল হক ইসলামিক দলগুলো ছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই : হাসনাত আবদুল্লাহ খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে গোপালগঞ্জে ওলামা-মাশায়েখ  সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৌদির শাসকদের নিয়ে যা বললেন গ্র্যান্ড মুফতি কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির সেবায় নিয়োজিত করার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে? ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

যেসব খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইল পরিবর্তন হওয়ায় প্রতিনিয়ত যেসব খাবার খাই, তার অনেকগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি খেলে শরীরের ভেতরে ক্যান্সার সেল জন্ম নেয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো চিকিৎসকেরা এইসব খাবারগুলি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

চিকিৎসকেরা যেসব খাবার মুখে তুলতে নিষেধ করছেন- প্রক্রিয়াজাত মাংস: আমেরিকার ‘ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াই'য়ের তত্ত্বাবধানে হওয়া এক গবেষণা অনুযায়ী, প্রক্রিয়াজাত মাংস অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৬৭ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। আসলে এমন ধরনের খাবারে এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ থাকে যেগুলি ‘কারসিনোজেন'। অর্থাৎ এক প্রকার বিষ, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

চাষ করা মাছ: বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা মাছ অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিকভাবে বড় করা হয়। সেই সঙ্গে চাষের সময় মাছের নানাবিধ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও পরজীবিদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে নানা ধরনের জীবণুরোধকারী ওষুধ, কীটনাশক ও অন্যান্য ‘কারসিনোজেনিক' রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। ফলে এই ধরনের মাছ খেলে শরীরে ওইসব কার্সিনোজেনিক উপাদানের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

লবন বেশি রয়েছে এমন খাবার এবং স্মোক ফুড: এই ধরনের খাবারে প্রচুর মাত্রায় প্রিজারভেটিভ, যেমন, ‘নাইট্রেইট' থাকে। দীর্ঘদিন এসব খাবার খেলে শরীরে প্রিজারভেটিভের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে একসময় গিয়ে এই বিষাক্ত উপাদানগুলো কোষের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং ক্রমেই ক্যান্সার রোগের প্রথকে প্রশস্থ করে।

ক্যানড ফুড: টিনজাত খাবারকে দীর্ঘদিন তাজা রাখতে এমন কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়।

আলুর চিপস: ‌হাইড্রোজেনেইটেড ভেজিটেবল অয়েল এ ভাজা এই সব চিপসে প্রচুর মাত্রায় লবণ থাকে, যা ওজন বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করে। সেই সঙ্গে আরও সব মরণ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

মাইক্রোওয়েভ তৈরি পপকর্ন: খাবারটি বানানোর পদ্ধতি, সব কিছুই এতো অবৈজ্ঞানিক যে এমন খাবার খেলে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

পরিশোধিত সাদা আটা: আটাকে যখন পরিশোধিত করা হয় তখন প্রায় তার সব পুষ্টিগুণই নষ্ট হয়ে যায়। পরে একে ক্লোরিন গ্যাসের সাহায্যে ব্লিচ করা হয়, যাতে ক্রেতার চোখে আকর্ষণীয় লাগে।

সোডা বা কোল্ড ড্রিঙ্ক: গত দশক ধরে একাদিক গবেষণা হয়েছে এর উপর। সবকটিতেই দেখা গেছে এমন পানীয়তে হাই ফ্রকটোস কর্ন সিরাপ, নানাবিধ কেমিক্যাল এবং ডাই থাকে, যা শরীররে অন্দরে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে। তাই একথা বলা যেতে পারেই যে, এমন ঠান্ডা পানীয় খাওয়া প্রায় বিষ খাওয়ারই সমান।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ