শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

ধর্মীয় অনুভূ‌তি‌তে আঘাত দিয়ে বই, লেখকসহ তিন আসামিই খালাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: অমর একুশে গ্রন্থ‌মেলায় প্রকাশিত ‘ইসলাম বিতর্ক’ বইয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অ‌ভি‌যোগ প্রমা‌ণিত না হওয়ায় লেখক ও প্রকাশকসহ তিনজন‌কে বেকসুর খালাস দি‌য়ে‌ছেন আদালত।

তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়া‌রি) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামছ জগলুল হোসেন এ রায় দেন।

খালাস পাওয়া ব্য‌ক্তিরা হলেন ব-দ্বীপ প্রকাশনার সত্ত্বাধিকারী ও বই‌য়ের সম্পাদক শামসুজ্জোহা মানিক (৭৭), ছাপাখানা শব্দকলি প্রিন্টার্সের মালিক তসলিমউদ্দিন কাজল (৬০) এবং বইটির লেখক শামসুল আলম চঞ্চল ( ৫৮)।

‘ইসলাম বিতর্ক’ বইটি ২০১৬ সালে একুশে বইমেলা চলাকালে ব-দ্বীপ থেকে প্রকাশিত হয়। প‌রে এ বই নি‌য়ে স্যোসাল মি‌ডিয়ায় বিতর্ক তৈ‌রি হয়। বিতর্কের ম‌ধ্যেই ওই বছ‌রেরে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মেলা থেকে বইটির সব কপি জব্দ করে পুলিশ।

পাশাপশি ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মতো উপাদান’ আছে কি না- তা অনুসন্ধানে গিয়ে কাঁটাবনে ব-দ্বীপ প্রকাশনের দপ্তর থেকে আরও পাঁচটি বইয়ের সব কপি জব্দ করা হয়। বইমেলায় ব-দ্বীপের স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বইগু‌লো হ‌লো- ‘আর্যজন ও সিন্ধু সভ্যতা’, ‘জিহাদ: জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের উত্তরাধিকার’, ‘ইসলামের ভূমিকা ও সমাজ উন্নয়নের সমস্যা’, ‘ইসলামে নারীর অবস্থা’ এবং ‘নারী ও ধর্ম’।

এসব বই‌য়ের ক‌পি ‘বঙ্গরাষ্ট্র ডট ওআরজি’ নামের একটি ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। সে কারণে শাহবাগ থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে এ মামলা করেন উপ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা। মামলা হওয়ার পর শামসুজ্জোহা মানিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কয়েক মাস পর তারা জামিনে মুক্তি পান।

২০১৬ সা‌লের ২১ আগস্ট তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন শাহবাগ থানার তখনকার পুলিশ পরিদর্শক জাফর আলী বিশ্বাস।

এরপর মামলার বিচার চলাকা‌লে রাষ্ট্রপক্ষে ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষ্য দেন। ১৬ বার সময় দেওয়া হ‌লেও মামলার তদন্ত কর্মেকর্তা আদাল‌তে সাক্ষ্য দি‌তে যান‌নি।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ