আওয়ার ইসলাম: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অর্থলোলুপ আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’।
উপাচার্য প্রকল্পের টাকা থেকে ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা বণ্টন করে দিয়েছেন এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসলেও এই প্রথম উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি উঠলো।
শুরু থেকেই আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের এই সংগঠনটিও আন্দোলনে যুক্ত ছিল। তবে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এখনও অভিযোগের তদন্ত দাবির মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছে।
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, ‘‘উপাচার্য ও তার পরিবারের সদস্যদের তত্ত্বাবধানে ‘অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে’র টাকা ভাগাভাগির সংবাদ এখন সারা দেশের সবচেয়ে আলোচিত সংবাদ। উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা লুটপাটের ঘটনায় দেশের প্রথম নারী উপাচার্যের সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে অনেকের মনে কিঞ্চিৎ সংশয় থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ‘খোলা চিঠি’ নিশ্চিত বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। এ অবস্থায় দুর্নীতিগ্রস্ত এই উপাচার্যের আর স্বপদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই’’।
তারা আরো বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনের যৌক্তিকতা প্রমাণিত হয়েছে। উপাচার্য ও তার পরিবারের দুর্নীতির নানা খবর কারোরই অজানা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অসম্মান করা, হেয় করে রুচিবহির্ভূত ও কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী হিসেবে উপাচার্যের স্বমীর দায়িত্ব পালন (বাংলাদেশে মহিলা ক্লাবের প্রথম পুরুষ সভাপতি হিসেবে তিনি ইতিহাস গড়েছেন), লেডিস ক্লাবের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে নীতি ভঙ্গ করে অর্থ লুটপাট ইত্যাদি সংবাদ জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।’
তবে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম তার বিরুদ্ধে তোলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পদকের অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। শনিবার দুপুর বারোটায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে তার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, অভিযোগের তদন্তের জন্য তিনি আচার্য ও মঞ্জুরি কমিশনকে অনুরোধ জানাবেন।
আরএম/
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                           
                        
                                                 
                      
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                        