সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জামাতে পেছনের কাতারে একা দাঁড়ানো যাবে কি? আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট অনুযায়ী ছয় মাসের গর্ভ নষ্ট করার বিধান গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে আরও ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত ক্ষুদ্র ডিএনএ-তে লুকানো বিশাল রহস্য: একেকটি কোষ যেন একেকটি গ্রন্থাগার আফগানিস্তানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প, প্রাণহানি ২০ জনের বেশি বড়লেখায় জমিয়তের কর্মী সম্মেলন বাংলাদেশে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করার অধিকার নেই: নাহিদ রাজশাহীতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রশিক্ষণ মজলিস ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে হিজাব-নিকাব পরে কেন পড়াশোনা করতে পারবে না!’ চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

মৃত্যুর আগে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দির আবেগঘন চিঠি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বেলায়েত হুসাইন ।। 

২০১৫ সালে ইসরায়েলের এক সেনা কর্মকর্তা হত্যার দায়ে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর থেকে বাসসাম আল-সায়েশ-এর স্ত্রীকে আটক করে ইসরায়েল। স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে বাসসাম আল-সায়েশও গ্রেফতার হন ওই একই অভিযোগে।

গত রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি থাকা ৪৭ বছর বয়সী এ ফিলিস্তিনি বিনা চিকিৎসা ও অবহেলার কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর আগে আটক থাকাকালীন সময়ে রক্তস্বল্পতাসহ বোন ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।

স্বাস্থ্যের এরকম মারাত্মক অবনতি হওয়া সত্ত্বেও দখলদার ইসরায়েলের কারাকর্তৃপক্ষ বাসসাম আস সায়েহের জন্য উল্লেখযোগ্য কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এই নাজুক পরিস্থিতিতে বাসসাম আস সায়েহের জন্য শাহাদাতের অমিয় সুধা পানের অপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।

এ সময় তিনি কারাগার থেকে নিজের জীবন সাহাহ্নে দাঁড়িয়ে আপন পরিবারের উদ্দেশ্যে আবেগঘন একটি চিঠি লিখেছেন। ফিলিস্তিনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দুনিয়া আল-ওতান বাসসাম আস সায়েহের পরিবারের বরাত দিয়ে ওই চিঠিটি প্রকাশ করেছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার।

আওয়ার ইসলাম পাঠকদের জন্য আরবি ভাষায় লেখা চিঠিটির বাংলা অনুবাদ তুলে ধরা হলো:-

"আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ!

হয়তো তোমাদের বলা এই আমার শেষ কথা; আমার জীবনের সবশেষ দিনগুলোর একেবারেই শেষ মুহূর্তে, শ্বাসপ্রশ্বাসের অন্তিমকালে। আমার কথার সূচনা করবো এই বলে যে, " ভালবাসি আমি তোমাদের সবাইকে"।

আমার দেশ, আমার মাতৃভূমির প্রতি শান্তি ও করুণা বর্ষিত হোক। নাবলুসের উপর আল্লাহর রহমত নেমে আসুক। আমার ওইসব স্মৃতিসমূহ অমলিন থাকুক যেগুলো মাতৃভূমির সঙ্গে আমার মুহাব্বাতকে দৃঢ় করেছে। আমার পরিবার-প্রতিবেশীকে সালাম। আমার মসজিদ-মিহরাব, জামিয়া ও বন্ধুদের উপর প্রশান্তির বৃষ্টি ঝরুক।

যারা পেরেও আমাকে দুর্দিনে সাহায্য করেনি তাদের কথা বাদই দিলাম, তবে তোমাদের নিকট আমার শেষ ওসিয়ত ও উপদেশ হলো, আমার অসুস্থ বন্দী ভাইদের জুলুম-অত্যাচার ও সীমাহীন ব্যথা-বেদনার অন্ধকার ওই কারাপ্রকোষ্ঠে ফেলে রাখতে দিওনা। তোমাদের নিকট আমার আকুল আবেদন এই যে, তাদেরকে মুক্ত করে আমার প্রতি রহম করো তোমরা।”

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ