রকিব মুহাম্মদ : দারুল উলুম দেওবন্দে নির্মাণাধীন ‘শাইখুল হিন্দ লাইব্রেরি’ বিষয়ে পুলিশি তদন্ত নিয়ে দেওবন্দের মুহাদ্দিস জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর সভাপতি মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানী বলেন, কখনো দারুল উলুম দেওবন্দের ভবন নির্মাণ সম্পর্কিত কোন কাজে সরকার নাগ গলায়নি, এ কারণে অনুমতি নেওয়ার বিষয়টিও আমরা লক্ষ্য করিনি। তবে বিজেপি সরকার যেহেতু নজর দিচ্ছে, আমরাও এখন থেকে এ বিষয়টি কঠোরভাবে অনুসরণ করব।
এ বিষয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী বলেন, দারুল উলুম দেওবন্দের সমস্ত ভবন সরকারী নিয়মানুযায়ী নির্মিত হচ্ছেে। তবুও যদি সরকারের পক্ষ থেকে কেউ রিসার্চ করতে আসে, তাহলে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো।আর ডি এম কর্তৃক গঠনকৃত তদন্ত টিমকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে আমারা সবরকমের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত।
এদিকে, দারুল উলূম দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আবদুল খালিক মাদ্রাসিও লাইব্রেরির উপরের অংশে হেলিপ্যাড নির্মিত হওয়ার তথ্য অস্বীকার করেছেন। নির্মাধীন ভবনের নকশাও জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি এসডিএম রাকেশ কুমারের প্রাপ্ত নোটিশের জবাবে বলেছেন, দেওবন্দে শুধু লাইব্রেরি নির্মাণের কাজ চলছে, হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, এশিয়ার বৃহত্তম দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দে হেলিপোর্ট নির্মাণের অভিযোগের জেরে শনিবার মাদরাসায় তল্লাশি চালিয়েছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। সরকারি অনুমতি না নেয়ার অযুহাতে লাইব্রেরির নির্মাণ কাজ বন্ধও করে দিতে পারে বলে ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।
জেলা পুলিশ কর্মকর্তা অলোক পান্ডে, এসএসপি দীনেশ কুমার ও পুলিশ প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। অফিসাররা দারুল উলুম দেওবন্দের সীমানায় নির্মাণাধীন শাইখুল হিন্দ লাইব্রেরির উপরে হেলিপোর্ট নির্মাণের বিষয়ে অনুসন্ধান করেন।
ডিএম অলোক পান্ডে জানায়, আমরা তদন্ত করেছি। গ্রন্থাগারসহ হেলিপোর্ট নির্মাণের অনুমতি নেওয়া হয়নি দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে। সুতরাং এসডিএম সহ পিডব্লিউডিকে এর প্রযুক্তিগত সক্ষমতাসহ ইত্যাদি যাচাইয়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে এ ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকবছর ধরে কঠোর নির্মাণযজ্ঞের পর লাইব্রেরি ভবনের চমৎকার কাঠামো তৈরি হয়েছে। অনেকদিনের শ্রম ও পরিকল্পনার পর ‘শাইখুল হিন্দ লাইব্রেরি’র নির্মাণে হাত দেয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি তদন্তের জেরে বিঘ্নতা ঘটছে এখন।
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                           
                        
                                                 
                      
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                        